shono
Advertisement

বিশ্বকাপে নিখুঁত বিদ্যুৎ সরবরাহের নেপথ্যে বাংলার সংস্থা! কলকাতা থেকেই গিয়েছে ট্রান্সফর্মার

ভারতবাসী হিসাবে গর্বিত, বলছেন সংস্থার কর্ণধাররা।
Posted: 05:09 PM Nov 23, 2022Updated: 06:11 PM Nov 23, 2022

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কাতারে (Qatar) শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবলের মহারণ। ঝকঝকে স্টেডিয়াম, হাজার হাজার ওয়াটের আলো, স্টেডিয়ামের আশেপাশে বাহারি আলোকসজ্জা, সবই চাক্ষুস করছে গোটা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা। কিন্তু জানেন কি, কাতারের এই নিখুঁত আলোকসজ্জার নেপথ্যে রয়েছে বাংলার এক সংস্থার হাত? কলকাতা থেকেই বিশ্বকাপের মঞ্চে গিয়েছে কারেন্ট ট্রান্সফর্মার।

Advertisement

বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পরিকাঠামোর উন্নয়নে কলকাতায় তৈরি ৩০ হাজার কারেন্ট ট্রান্সফর্মার (Current Transformer) এবার কাতার বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বকাপ ফুটবল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সুইচ গিয়ারের এই ট্রান্সফর্মারের গুরুত্ব পরিসীম। এই ট্রান্সফর্মার গুলিই অবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রিত করে।’

[আরও পড়ুন:ময়লাবাহক থেকে মেসিদের মূর্তিমান দুঃস্বপ্ন, সৌদি কোচ রেনার্ডের জীবন কর্কশ বাস্তবের মোড়কে ঢাকা]

কলকাতার বেহালায় একটি কারখানায় তৈরি হয়েছে এই ট্রান্সফর্মারগুলি। চার বছর ধরে ১২০ জন কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে স্বীকৃতি পেয়েছে এই কারেন্ট ট্রান্সফর্মার। কারখানার এক কর্ণধার উত্তরপাড়া নিবাসী সুবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বেহালার কারখানায় তাদের সুইচ গিয়ার-সহ বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরি হয়। এই সুইচ গিয়ারের একটা অংশ হলো কারেন্ট ট্রান্সফর্মার। কাতার যখন আয়োজক সংস্থা হিসেবে বিশ্বকাপের দায়িত্ব পায়, তখনই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য অনেকগুলি গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়। মালয়েশিয়ার একটি বহুজাতিক সংস্থা সুইচ গিয়ারের বরাত পায়। মালয়েশিয়ার ওই সংস্থা সুইচ গিয়ারের কারেন্ট ট্রান্সফর্মার তৈরির জন্য তাদের সংস্থাকে নির্বাচিত করে। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তারা ওই কারেন্ট ট্রান্সফর্মার তৈরির বরাত পান। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়। তারা তাদের ৩০,০০০ ট্রান্সফর্মার তৈরির পর মালয়েশিয়ার ওই সংস্থাকে পাঠিয়ে দেন।

[আরও পড়ুন: ১১৭ মিনিট ধরে চলছে খেলা! জানেন, এবার বিশ্বকাপের ম্যাচে এত বেশি ইনজুরি টাইম কেন?]

সুবোধবাবু বলছিলেন, “যেহেতু মরু এলাকায় স্টেডিয়াম তৈরি ও তার আশেপাশের এলাকার উন্নয়নের জন্য সর্বপ্রথম বিদ্যুতের প্রয়োজন, তাই তিনি নিজে প্রথমে বার দুই কাতার গিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে এই সুইচ গিয়ার-সহ কারেন্ট ট্রান্সফর্মার ইনস্টল করেন। সুবোধবাবু জানান, কারেন্ট ট্রান্সফর্মারের কাজ হল বিদ্যুতের সংযোগে কোনও গোলমাল হলে তা সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা। গোলমাল চিহ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের ওই লাইনটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যাতে কোনও বিপর্যয় না ঘটে। এছাড়া বিদ্যুতের লাইনে কত পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে তা নির্দেশ করে এই কারেন্ট ট্রান্সফর্মার। সুবোধবাবু জানিয়েছেন, তাদের কারখানায় তৈরি এই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) ফুটবলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বজায় রাখবার জন্য যে ভূমিকা পালন করছে, একজন ভারতবাসী হিসাবে সেটার জন্য তিনি গর্বিত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার