সম্যক খান, মেদিনীপুর: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে কীভাবে অবতরণ করবে যুদ্ধবিমান? তার জন্য বুধবার মেদিনীপুরে (West Midnapore) ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে মহড়া দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। আর সেই মহড়া দেখে রীতিমতো থ এলাকাবাসী। চারপাশে সেনা, পুলিশ। যুদ্ধবিমান ধীরে ধীরে রাস্তার দিকে নেমে আসতে আসতেও উড়ে যাচ্ছে – এসব দৃশ্য এত কাছ থেকে আগে কখনও দেখেননি কেউ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানান, যুদ্ধবিমানের ট্রায়াল রান চলছে। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
যুদ্ধ লাগলে সাধারণতঃ শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটিগুলি টার্গেট করা হয়। খড়গপুরের কাছে কলাইকুণ্ডায় ভারতীয় বায়ুসেনার সামরিক ঘাঁটি। তাছাড়া যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নানা চাপও থাকে সামরিক ঘাঁটিগুলিতে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বিমান অবতরণের জন্য খড়গপুরের কলাইকুণ্ডা (Kalaikunda) বিমানঘাঁটি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি অংশকে সেভাবে তৈরি করা হচ্ছে। নারায়ণগড় ব্লকের পোক্তাপোল থেকে শ্যামপুরা পর্যন্ত রাস্তাটিকে রানওয়ের মতো করে বিশেষভাবে তৈরি হচ্ছে। রাস্তার দুপাশের গাছ কেটে চওড়া করা হয়েছে। সেখানেই বুধবার যুদ্ধবিমান (Fighter Jet) অবতরণের প্রাথমিক মহড়া হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: নখের আঁচড়ে পেট ছিঁড়ে নাড়িভুঁড়ি টেনে বের করল ‘খুনে’ বাঁদর, মর্মান্তিক মৃত্যু কিশোরের]
যদিও এদিন নির্মীয়মাণ রানওয়েতে নামেনি কোনও যুদ্ধবিমান। জাতীয় সড়কের ৩০ ফুট উপর দিয়েই তা উড়েছে। মহড়ায় হাজির ছিলেন বায়ুসেনার একাধিক আধিকারিক, প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী। সূত্রের খবর, রানওয়ের (Runway)মতো রাস্তা তৈরি শেষ হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। আর তার পরই এখানে যুদ্ধবিমান অবতরণ করানো হবে। বুধবার তার মহড়া হয়ে গেল।