সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এখনও আয়ত্তে আসেনি মহেশতলার রায়াসনিক কারখানার আগুন (Fire)। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টায় দমকলের ১২ টি ইঞ্জিন। নামানো হয়েছে রোবট। ঘটনাস্থলে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায় বেশ কিছু কারখানা ও গুদাম রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাসায়নিক কারখানা থেকে বিকট শব্দ পান আশপাশের গুদামের শ্রমিকরা। দেখতে পান কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কার্যত গোটা রাসায়নিকের কারখানা দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। যাতে পাশের গুদামে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা করেন আধিকারিকরা। বের করে আনা হয় সেখানকার শ্রমিকদের। প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। পরে একে একে বাড়তে থাকে ইঞ্জিনের সংখ্যা। বর্তমানে আগুনকে আয়ত্ত আনার চেষ্টায় ১২ টি ইঞ্জিন। নামানো হয়েছে রোবটও। জানা গিয়েছে, ওই রাসায়নিক কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পাশের একটি নারকেল তেলের কারখানায়। তবে আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে দমকলের আধিকারিকরা। ওই কারখানার পাশে কমপক্ষে ২৫০টি গুদাম ও কারখানা রয়েছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘এমন কিছু করবেন না যাতে কাশ্মীরে ডিউটি করতে হয়’, SP-কে হুঁশিয়ারি Suvendu’র]
এদিন অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কীভাবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন। সুজিতবাবু জানিয়েছেন, রাসায়নিক পদার্থ ও হাওয়ার কারণেই ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। তিনি বলেন, “আধিকারিকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে শীঘ্রই। রোবটও কাজে লাগানো হচ্ছে। একজন সামান্য জখম হয়েছেন।” এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।