সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ফের গভীর সমুদ্রে ট্রলারডুবি। মাছ ধরে ফেরার সময় কাকদ্বীপের (Kakdwip) কাছে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটির তলায় ছিদ্র থাকায় জল ঢুকে তা ডুবতে শুরু করে। তবে মৎস্যজীবীদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের কাকদ্বীপে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) এফবি প্রসেনজিৎ নামে ট্রলারটি ডোবার খবর পাওয়া যায়। ট্রলারে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবী প্রাণভয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। সেই সময় মৎস্যজীবীদের আরও কয়েকটি ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরে উপকূলে ফিরছিল। ওই ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুনে দেখেন, এফবি প্রসেনজিৎ ট্রলারটি ডুবছে। ট্রলারে থাকা মাঝিরা প্রাণভয়ে চিৎকার করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাই তড়িঘড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলার থেকে বিপদগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের (Fishermen) উদ্ধার করেন। তাঁরা সকলে সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: উফ! নাভির এতটা নিচে কাপড়! দীপিকার এক ছবিতেই কাত নেটদুনিয়া]
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, ট্রলারটি গত ২৯ জুলাই কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের রিফিউজি কলোনি থেকে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বের হয়। সোমবার রাতে ইলিশ (Hilsa) ধরে ট্রলারটি কাকদ্বীপে ফিরছিল। মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ বাঘেরচর থেকে ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের গভীরে উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারের তলায় ছিদ্র হয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীরাই উদ্ধার করে ডুবন্ত ট্রলারের মৎস্যজীবীদের। তাঁদের কাকদ্বীপে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শুধু রাম মন্দিরে হবে না, ২৪-এর নির্বাচন জিততে উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের বার্তা মোদির]
উল্লেখ্য, এই বাঘেরচর এলাকাতেই এর আগেও দু, তিনবার ট্রলারডুবির খবর মিলেছে। কখনও ইলিশভরতি ট্রলার ডুবে বিপুল লোকসান হয়েছেন। বেশিরভাগ সময়েই মাছ ধরে ফেরার পথেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে আশার কথা এই যে প্রতিবারই নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন মৎস্যজীবীরা।