shono
Advertisement

বিলাসবহুল বাড়ির অন্দরে রমরমা মাদক কারবার, কাটোয়ায় STF-এর জালে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী

বাজেয়াপ্ত প্রচুর মরফিন, হেরোইন, গ্রেপ্তার তিনজন।
Posted: 04:55 PM Jul 16, 2022Updated: 04:58 PM Jul 16, 2022

ধীমান রায়, কাটোয়া: এ রীতিমতো মাদকের ভাণ্ডার! পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া (Katwa) থানার রাজুয়া গ্রামে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের পর চোখ কপালে তদন্তকারীদের। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা থেকে এসটিএফের বিশেষ বাহিনী স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাজুয়া গ্রামে হানা দেয়। সেখানকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে মাদক (Drugs)। মরফিন জাতীয় মাদক থেকে হেরোইন তৈরি করা হত বলে জানা গিয়েছে। তারপর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সেই হেরোইন বিক্রি করা হত।

Advertisement

ছবি: জয়ন্ত দাস।

জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF) ও কাটোয়া থানার পুলিশ প্রথমে হানা দেয় রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ গোলাম মুর্শেদের বাড়িতে। মুর্শেদ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তিনি পাঁচ বছর আগে অবসর নেন। গ্রামের একধারে মাঠের কাছে বিলাসবহুল বাড়ি। গোলাম মুর্শেদের ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বমাল ধরার পর গোলাম মুর্শেদ শেখ ও তার তিন সহযোগীকেও সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, তিন সহযোগীর মধ্যে রয়েছে আঙুর আলি, মিনারুল শেখ ও মিঠুন শেখ। মিঠুনের বাড়ি কাটোয়ার আলমপুর। বাকি দু’জন নদিয়া (Nadia) জেলার বাসিন্দা।

[আরও পডুন: ২৪-এ লালকেল্লায় হাওয়াই চপ্পল, তাঁতের শাড়িতে বঙ্গতনয়ার ভাষণ]

তিনজনকে আটক করার পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পাশাপাশি অন্যান্য জায়গাতেও তল্লাশি চালানো হয়। জানা যায়, গোলাম মুর্শেদের বাড়িতেই মরফিন জাতীয় মাদক প্রায় ১০ কেজি পরিমাণ উদ্ধার হয়। এই মাদক থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন তৈরি করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে যার কেজি প্রতি মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি। এই মাদক তৈরি ও পাচার চক্রটি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও পাচার করে বিক্রি করত বলে সন্দেহ গোয়ান্দাদের।

[আরও পডুন: সর্বকালীন পতন টাকার মূল্যে, মোদির পুরনো টুইটকে হাতিয়ার করে খোঁচা বিরোধীদের]

জানা গিয়েছে, গোলাম মুর্শেদের এক আত্মীয় দুবাইয়ে থাকেন। সেই ব্যক্তিও এই চক্রে জড়িত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে গ্রামবাসীদের দাবি ওই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে এভাবে মাদকের ভাণ্ডার গড়ে উঠেছিল তা আদৌ জানতেন না প্রতিবেশীরাও। এমনিতেই বাইরের লোকজন সচরাচর ওই বাড়িতে ঢুকতে পারতেনও না বলে স্থানীয়রা জানান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার