টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: নববর্ষের প্রথম দিন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মিলেছে দুর্ঘটনার খবর। তবে সন্ধের পর বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে লরির চাকা ফেটে দুর্ঘটনাকে ভয়াবহ বললে অত্যুক্তি হয় না। লরির চাকা ফেটে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে গাড়িতে থাকা ৪ জনের মৃত্যু হয়। বাকি ২ শ্রমিক এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ঘটনা রবিবার সন্ধেবেলার। এদিন সন্ধ্যায় তালড্যাংরার বিবরদা থেকে একটি ধানবোঝাই লরি জয়কৃষ্ণপুর-পাত্রসায়ের রাস্তা দিয়ে পূর্ব বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। জয়কৃষ্ণপুরের কাছে ওই ধান বোঝাই গাড়ির সামনে চাকা ফেটে উলটে যায় (Accident)। তাতে চাপা পড়েন ৬ জন শ্রমিক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁরা সকলেই পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের গ্রামে খবর পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলই সরকার, তৃণমূলই বিরোধী’, বছরের শুরুতেই বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ কুণাল ঘোষের]
বাকি দু’জনের সেখানেই চিকিৎসা চলছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলে খবর। গাড়িতে থাকা আহত শ্রমিক উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, ”আমরা মোট ৬জন শ্রমিক ধান বোঝাই করে লরিতে ফিরছিলাম। আমরা ধানের বস্তার উপর বসেছিলাম। হঠাৎ জোরে আওয়াজ করে উলটে যায় লরিটা। আমরা উলটে পড়ে যাই। তারপর দেখছি আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছে।” এই দুর্ঘটনার পর লরির চালক পলাতক।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই অস্বস্তিতে মোদি সরকার, বেকারত্বের হার গড়ল নয়া নজির]
প্রাথমিকভাবে লরির চাকা ফেটে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেলেও পুলিশ এ বিষয়ে এখনও কিছু বলতে চায়নি। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার কারণ ভালভাবে খতিয়ে দেখে তবেই তা বলা সম্ভব। তবে এই মুহূর্তে পলাতক লরি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। কেন ধানবোঝাই লরির স্বাস্থ্যপরীক্ষা না করে ছাড়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নও উঠছে।