সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ইডি’র স্ক্যানারে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির বলাগড়ের ছোট্ট কসমেটিক্সের ব্যবসায়ী থেকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তিনি। রকেটের গতিতে উত্থান হয় তাঁর।
হুগলির বলাগড়ের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শান্তনু মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাবা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী। জিরাটের বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন শান্তনু। পড়াশোনা শেষ করে জিরাটে একটি কসমেটিক্সের দোকান খোলেন। ২০০৫-০৬ সালে মোবাইল রিচার্জের দোকান খোলেন শান্তনু। ইতিমধ্যে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয় শান্তনুর বাবার। সরকারি নিয়মানুযায়ী, বাবার চাকরিই পান শান্তনু।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে বাবা বলে ভাবলেও, ওরা কিন্তু নয়’, পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে মদন]
কর্মজীবনে থিতু হওয়ার পর রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন শান্তনু। তৃণমূলের সংগঠন যুবায় নাম লেখান। সেই সময় জেলা সভাপতির পদ পান শান্তনু। এরপর তৃণমূল যুবা এবং যুব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ২০১৮ সালে জেলা পরিষদের সদস্য হন শান্তনু। জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের পদ পান। তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করত। তা নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই। সম্প্রতি জিরাটে একটি ধাবাও খুলেছিলেন শান্তনু। ধাবা খোলার বিপুল টাকা কোথা থেকে পেলেন তিনি, তা এখনও জানা যায়নি। শান্তনু এবং কুন্তল একই পাড়ার ছেলে। ঠিক কোন সময় দু’জনের নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল, তা-ও স্পষ্ট নয়।