সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শেখর চন্দ্র: দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (Durgapur Steel Plant) কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস লিক করে বিপত্তি। প্রাণহানি তিন শ্রমিকের। অসুস্থ আরও চারজন। তাঁরা ভরতি হাসপাতালে। তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সড়ে ৬টা। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের বেসিক অক্সিজেন ফার্নেস বা বিওএফ বিভাগে কাজ চলছিল। তিনজন সারাইয়ের কাজ করছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁদের খোঁজ শুরু করেন আরও চারজন। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস লিক করে। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাতজন। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিএসপির আধিকারিকরা। দমকল এবং সিআইএসএফ আধিকারিকরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সাতজনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের প্রথমে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: আহমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল বিশেষ আদালত]
তবে শেষরক্ষা হয়নি। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা হল সন্তোষ চৌহান, স্বজন চৌহান এবং পিন্টু যাদব। বছর সাতাশের সন্তোষ চৌহান এবং আটচল্লিশ বছর বয়সি স্বজন চৌহান, দুর্গাপুর মেনগেটের বাসিন্দা। পিণ্টু যাদব কাদারোডে থাকতেন। তাঁরা সকলেই দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিক। বাকি চারজন ঠিকা শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার প্রসঙ্গে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের জনসংযোগ আধিকারিক আশরাফুল হোসেন মজুমদার জানান, কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া। শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব বিভিন্ন কর্মী সংগঠন।
এদিকে, ভূগর্ভস্থ খনির ভিতর আসানসোলের মিঠানি কোলিয়ারির সংলগ্ন মিঠানি বাউড়ি পাড়ায় ডিনামইট বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠছে উপরের ঘরবাড়ি। ফেটে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। দশ থেকে বারোটি বাড়ি ফেটে গেছে। পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে রেণুকা বাউড়ি নামে এক মহিলার মাটির বাড়ি। অবিলম্বে ডিনামাইট ব্লাস্টিং বা বিস্ফোরণ বন্ধের দাবি স্থানীয়দের। মিঠানি কোলিয়ারির এজেন্ট ও ম্যানেজারকে ঘিরে এদিন তুমুল বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী।