বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: নদিয়ার হাঁসখালির গণধর্ষণকাণ্ডের (Hanskhali Rape Case) মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালি এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পীযুষ ভক্তকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। সেই কারণে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হল। শনিবার ধৃত দুজনকে রানাঘাট (Ranaghat)মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা বিচারক সুতপা সাহা তাঁদের তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার আদালতে তাঁদের হাজির করানোর পর অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অপূর্ব বিশ্বাস সমরেন্দ্র গয়ালি ও পীযুষ ভক্তের জামিনের আবেদন জানান। বিচারক অবশ্য সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি। বরং সিবিআইয়ের (CBI)পক্ষ থেকে ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানায়। বিচারক দু’জনকে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রাখার আবেদন মঞ্জুর করেন।
[আরও পড়ুন: কোনও মেয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে চায় না, আক্ষেপ ৪৭ সন্তানের বাবার!]
অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অপূর্ব বিশ্বাস জানিয়েছেন, ”সমরেন্দ্র এবং পীযূষ ভক্তের বিরুদ্ধে ওই নাবালিকার পরিবারকে ভয় দেখানো, ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে, তারা নাকি ওই নাবালিকাকে ৪ মার্চ রাতে ডাক্তারের কাছে যেতে দিতে দেননি, ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু এই অভিযোগ সঠিক নয়। সেদিন রাতে ওই নাবালিকার বাবা-মা ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ নিয়ে এসেছিলেন। আসলে সিবিআই মিথ্যে অভিযোগ এনে আমার মক্কেলের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।”
[আরও পড়ুন: OMG! অবসাদ দূর করতে নিজের মূত্র পান করেন যুবক! তা দিয়ে মুখ ধুয়ে চেহারায় জেল্লাও!]
তবে সিবিআইয়ের আইনজীবী তদন্তের ভিত্তিতে নিজেদের যুক্ত সাজিয়ে তথ্যপ্রমাণ পেশ করেন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক তিনদিনের হেফাজতে পাঠাল দুই অভিযুক্তকে। ঘটনার দ্রুত কিনারার জন্য সিবিআই তাদের আরও কঠিন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।