সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা (Akhil Bharat Hindu Mahasabha)। সেখানে ভোটে লড়তে চলেছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ড. চন্দ্রচূড় গোস্বামী। সম্প্রতি এমনটাই জানা গিয়েছিল। যদিও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল। জানা গিয়েছে কিছুদিনের জন্য কার্যকরী সভাপতি থাকলেও চন্দ্রচূড় আদৌ রাজ্য সভাপতি নন। এমনকী আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করছে না হিন্দ মহাসভা। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন দীর্ঘদিন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে থাকা স্বামী সুন্দর গিরি মহারাজ।
সংবাদমাধ্যমগুলিকে অবগত করতে একটি ভিডিও বার্তায় সুন্দর গিরি মহারাজ জানিয়েছেন, যাদবপুর কেন্দ্রে-সহ রাজ্য তথা দেশের কোথাও প্রার্থী দেয়নি হিন্দু মহাসভা। চন্দ্রচূড় গোস্বামীকে ঠগবাজ, প্রতারক বলেন তিনি। জানান, ২০২২ সালে সত্যিই কার্যকরী সভাপতির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল চন্দ্রচূড়কে। যদিও অল্প দিনেই দেখা যায়, কায়েমি স্বার্থ সিদ্ধির জন্য হিন্দু মহাসভার আদর্শ ও নীতি বিরোধী কাজ করছেন চন্দ্রচূড়। এর পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এমনকী অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা কমিটি চন্দ্রচূড়কে চিরকালের জন্য নির্বাসিত করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের নেতাদের হয়ে দালালি!’ পুলিশকে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি সৌমিত্রর]
হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, এর পরেও ভুয়ো পরিচয় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছেন চন্দ্রচূড় গোস্বামী। বিগত দুর্গোপুজোর সময় নিজেকে সংগঠনের সভাপতি পরিচয় দিয়ে টাকা তুলেছেন তিনি। এমনকী হিন্দু মহাসভার প্রার্থী করা হবে বলে টাকা তুলছেন। সুন্দর গিরি মহারাজ স্পষ্ট করেন, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে অংশগ্রহণ করছে না। শুধু রাজ্যে নয়, গোটা ভারতেই।
সাধারণ মানুষের তিনি প্রতি বার্তা দেন, কারও কাছে থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য টাকা তুললে কিংবা প্রার্থীরা ভোটে লড়ার জন্য টাকা তুলতে এলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ (দলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর- ৯৪৩২০৯৩৫৫৬ দেওয়া হয়েছে) করুন। এছাড়াও ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত থানা, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে অবগত করেছি আমরা।
[আরও পড়ুন: ‘দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেন, নির্বাচনী প্রতীক যেন না পান’, লকেটের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল]
হিন্দু মহাসভার ভিডিও বার্তার বিষয়ে বলা হয়েছে, 'বিগত সময়কালে কিছু ঠগবাজ, জোচ্চোর অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার নাম করে নিজেদের এই প্রাচীনতম দলের সদস্য ও পদাধিকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করে আসছেন, যাদের নেতৃত্বে প্রধানত চন্দ্রচূর গোস্বামীর নাম উঠে আসছে।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাই এইসব প্রতারকদের মুখোশ খুলে দেওয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যায়। তাই এই বিষয়ে অবহিত করার জন্য এই ভিডিওটি।'