shono
Advertisement

Breaking News

HS Result: ফল ঘোষণার সময় কেন সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তের ধর্মের উল্লেখ? ক্ষুব্ধ BJP ও Congress

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তকে 'মুসলিম ছাত্রী' বলে উল্লেখ করায় বিতর্ক।
Posted: 12:35 PM Jul 23, 2021Updated: 05:48 PM Jul 23, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondery) পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা (Rumana Sultana)। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস (Mahua Das) আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা ঘোষণা করেছেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তবে তিনি রুমানার নাম বলার সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদের এক ‘মুসলিম কন্যা’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন। আর তা নিয়েই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। কেন মেধার পরিবর্তে ধর্মের উপর এত গুরুত্ব দেওয়া হল, সে প্রশ্নে সরব বিজেপি ও কংগ্রেস। রাজ্যের নাগরিকদের একাংশও মহুয়া দাসের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।

Advertisement

শুক্রবার সকালে বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান তথা বঙ্গ বিজেপির-সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya) টুইট করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে আরও একবার তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ করেন। লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় রাজনীতি নয়া মাত্রা পেল যখন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মেধাতালিকায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ছাত্রীর নাম বলার আগে ধর্মপরিচয় উল্লেখ করেন। একবার নয়, বারবার সেকথা উল্লেখ করেন তিনি। ছাত্রীর মেধার থেকে বড় হল ধর্ম? এসব আর কতদিন ছাত্রছাত্রীদের সহ্য করতে হবে?”

[আরও পড়ুন: ভাঙলেন নীরবতা, Raj Kundra’র গ্রেপ্তারির পর প্রথম ইনস্টা স্টোরিতে কী লিখলেন Shilpa Shetty?]

শুধু অমিত মালব্যই নন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রীর এহেন ঘোষণার বিরোধিতায় সরব। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুর চড়িয়েছেন তিনি। লেখেন, “‘মুসলিম মহিলা প্রথম হয়েছে’ বলে যারা বারবার বলছে তাদের এত অবাক কেন হতে হচ্ছে!!! মুসলিম মেয়ে বলে কি কোনো অঘটন ঘটেছে!!! মেধা, বুদ্ধি, পরিশ্রম করে প্রথম হতে হয়। কাউন্সিলের প্রেসে শ্রুতিকটু শুনতে লাগে যখন বলা হয় “প্রথম হয়েছে মুসলমান মেয়ে”! ছাত্রীর নাম দেখে সে কোন্ ধর্মের বোঝানোর দায়িত্ব না নিলে খুশি হব। একজন ছাত্রী ফার্স্ট, ছেলেদের থেকে এগিয়ে চলেছে মেয়েরা-এটা লক্ষণীয়।”

রাজ্যের ইমাম অ্যাসোসিয়েশনও এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে তারা।  

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি শিক্ষাবিদ-সহ রাজ্যের বহু মানুষ ধর্মের কথা উল্লেখ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ককে ধামাচাপা দিতে আসরে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর সংসদের দাবি, ধর্মকে বড় করে দেখা হয়নি। বরং হাজারও প্রতিবন্ধকতাকে তুচ্ছ প্রমাণ করে একজন ছাত্রী কত ভাল ফল করেছে তা বোঝাতেই ‘মুসলিম  মেয়ে’ (Muslim) শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে বলেই দাবি। যদিও অনেকে এই সাফাইতে কান দিতে নারাজ। কারণ, মাধ্যমিকে রুমানা পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিল। সেক্ষেত্রে তার মেধার কথা তুলে ধরার সময় ধর্মের কথা উল্লেখ করা হয়নি। কেন তবে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘মুসলিম কন্যা’ বলা হল, সেই প্রশ্নই উঠছে।  

[আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি মতোই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এলেন মদন মিত্র, তুলে দিলেন একমাসের বেতন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার