সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাধ্যমিকে পঞ্চম। উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary) এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা। পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেয়েছে সে। অভাবনীয় সাফল্যের জন্য বহরমপুরে কালেক্টরি কনফারেন্স হলে রুমানাকে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই জেলাশাসক তাকে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার (Brand Ambassador) বলে ঘোষণা করেন।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরএলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হোটেল পাড়ার বাসিন্দা রুমানা সুলতানা। কান্দি মণীন্দ্রচন্দ্র গার্লস স্কুলের ছাত্রী সে। শিক্ষক পরিবারের সন্তান রুমানা। বাবা রবিউল আলম ভরতপুর থানার অচলা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক। মা সুলতানা পারভীন ভরতপুরের গয়সাবাদ অচলা বিদ্যামন্দিরে শিক্ষিকা। ফলে বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ রয়েছে। বাবা-মায়ের সাহায্য নিয়ে পড়াশোনা করে রুমানা। মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছিল। আর করোনা কালে উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সে। তার সাফল্যে খুশি পরিচিতরা। গর্বিত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারাও। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে। জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “মুর্শিদাবাদের নাম উজ্জ্বল করেছে রুমানা। সে কন্যাশ্রী (Kanyashree)। একজন যোদ্ধা ছাত্রী। তাই তাকে কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করা হবে।” জেলাশাসকের আশা জেলার অন্যান্য ছাত্রীকে উৎসাহিত করবে রুমানা। তাঁর এই ঘোষণায় অত্যন্ত খুশি বরাবরের মেধাবী ছাত্রী।
[আরও পড়ুন: Viral Video: পর্ন ফিল্ম তৈরির সঙ্গে যুক্ত রাজ কুন্দ্রা, আগেই টের পেয়েছিলেন কপিল শর্মা!]
বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস (Mahua Das)। তারপর থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছে রুমানা। তবে উচ্চমাধ্যমিকের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তের কথা ঘোষণার সময় রুমানাকে ‘মুসলমান কন্যা’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন সংসদের সভানেত্রী। তা নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর আলোচনা। মেধার চেয়ে ধর্ম কখনওই বড় হতে পারে না বলে দাবি করছেন সকলেই। রাজনৈতিক মহলেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এই বিতর্ক নিয়ে যদিও বিশেষ কিছু বলতে রাজি নয় রুমানা। সে বলে, “আমাকে মুসলমান বলা হয়তো ঠিক হয়নি। ছাত্রী বললেই বেশি খুশি হতাম। তবে উনি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী। তাই তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমার কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে বলব এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হোক তা চাই না।” রুমানার শিক্ষিকা মা-ও বিষয়টি খানিক এড়িয়ে যেতেই চান। তাঁর দাবি, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সম্ভবত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রীর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।