সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামশেদপুরে খেলা দেখতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মাথা ফাটল এক মোহনবাগান সমর্থকের। জাভি সিভেরিওর গোলের পর স্টেডিয়ামের সাউথ ওয়েস্ট অ্যাওয়ে গ্যালারিতে মোহনবাগান সমর্থকদের আনা সবুজ-মেরুন পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠছে কিছু জামশেদপুর এফসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
সেই লাঠিচার্জে মাথা ফেটে যায় ঋপন নামের এক মোহনবাগান সমর্থকের। আঙুল ফেটেছে সৌরভ সরকার নামের আরও এক মোহনবাগান সমর্থকের। মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোহনবাগান সমর্থক শিলাজিৎ দাস বলেন, “গোলের পরই ওরা আমাদের ফ্ল্যাগ ছিঁড়ে দেয়। তারপর প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অ্যাওয়ে গ্যালারিতে কী করে হোম দলের সমর্থকরা ঢুকে পড়ে বুঝতে পারলাম না।"
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে মোহনবাগান। ক্লাবের তরফে বলা হয়, জামশেদপুরে স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং নিরাপত্তারক্ষীরা যেভাবে অনৈতিক আচরণ করেছেন, তাকে ধিক্কার জানাই। জে আরডি টাটা স্টেডিয়ামের অ্যাওয়ে গ্যালারিতে অত্যন্ত আগ্রাসী আচরণ করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আমাদের মনে রাখা উচিত, ফ্যানরা ছাড়া কিন্তু ফুটবল কিছুই নয়।"
জামশেদপুর থেকে অবশ্য জিতে ফিরতে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। জামশেদপুরের প্রবল গরম। তার মধ্যে নেই দলের দুই সেরা অস্ত্র মনবীর সিং ও আপুইয়া। খানিকটা ব্যাকফুটে থেকেই সেমিফাইনালের যুদ্ধে নেমেছিল মোহনবাগান। ২৪ মিনিটে তিনজন ডিফেন্ডারের প্রতিরোধ সত্ত্বেও সিভেরিওকে লক্ষ্য করে দারুণ পাস দেন এজে। সেই পাস থেকে দুরন্ত হেডে গোল সিভেরিওর। ১৩ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে মোহনবাগান। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে সংযুক্ত সময়ে জয়সূচক গোল জামশেদপুরের।