অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিধ্বংসী আগুন লাগল বারাকপুরের স্টেশন রোড ঘোষপাড়া সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে এলাকার শপিং মলে এই আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, অতীন্দ্র সিনেমা হলের ওই বাড়ির একটি দোকানে ওই আগুন লাগে। মুহূর্তে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে খাক একটি রেস্তরাঁও। আগুন নেভাতে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। বিপুল অঙ্কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর রেল স্টেশনের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘোষপাড়া রোড। সেখানেই একটি অতীন্দ্র মাল্টিপ্লেক্স রয়েছে। সেই বাড়িতেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ওই বাড়িতে একটি শপিং মল ও রেস্তরাঁও রয়েছে। বিকেলে সেখান থেকেই আগুন বেরতে দেখা যায়। মুহূর্তে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকায় আতঙ্ক দেখা যায়। রেস্তরাঁ থাকার কারণে দ্রুত সেই আগুন ছড়ায়। ওই বাড়ির ভিতর ও বাইরে দাউদাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও চেয়ারম্যান উত্তম দাস। নিজস্ব চিত্র
ওই এলাকা বরাবর বেশ জনপ্রিয়। বহু মানুষ সেই অঞ্চলে কেনাকাটা, খাওয়াদাওয়া করতে আসেন। সিনেমা হলের কারণে দর্শকদের ভিড়ও দেখা যায়। এদিন বিকেলেও একই ছবি ছিল। আগুন লাগার পরেই এলাকা ফাঁকা করার কাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা দ্রুত সেই আগুন নেভাতে শুরু করেন। আগুনের ভয়াবহতা বুঝে আরও ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চালায়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে।
পুলিশ নিরাপত্তার খাতিরে গোটা এলাকা ঘিরে রাখে। ঘটনাস্থলে যান বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও পুরপ্রধান। কীভাবে আগুন লাগল? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। শর্টসার্কিট থেকেই কি এই আগুন? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা? সেসব তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকরা।