দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur)। কীভাবে এল কঙ্কাল? উদ্ধার হওয়া হাড় কার? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয়দের দাবি, বছর নয়েক আগে ২ মহিলার নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নরেন্দ্রপুরের জগদীশপুর এলাকায় বছর পাঁচেক আগে একটি বাড়ি কিনেছিলেন সঞ্জিত সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিবারের সময় আঁতকে ওঠেন শ্রমিকেরা। ট্যাঙ্কের মধ্যে দেখতে পান মহিলাদের পোশাকের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের বশেই কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর মালিকের কথা শুনে ফের কাজ শুরু করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকেই উদ্ধার হয় কঙ্কাল। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে মাথার খুলি ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের হাড়। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতেই জানা গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
[আরও পড়ুন: জামাইবাবুর মাদক বিক্রির টাকা লুকিয়েই বিপদ, মালদহ থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা-সহ গ্রেপ্তার দুই শ্যালক]
জানা গিয়েছে, পাঁচবছর আগে ওই বাড়িটি বিক্রি হয়েছে। পূর্বের মালিক থাকাকালীন প্রায় ১০ বছর আগে এলাকা থেকে ২ মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। প্রতিবেশীদের দাবি, সেই সময় ওই বাড়ির তৎকালীন মালিককে সন্দেহ হয়। তাকে মারধরও করা হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। কোনও অভিযোগই স্বীকার করেননি তিনি। পরবর্তীকালে তাঁরা বাড়ি বিক্রি করে চলে যান। স্থানীয়দের অনুমান, এই কঙ্কাল ওই মহিলাদের। ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া কৃষ্ণা সরদারের মা বলেন, “দুর্গা পুজার বিসর্জনের দিন থেকে নিখোঁজ মেয়ে। পুলিশে ডায়েরি করেও হদিশ মেলেনি। তাঁর ধারণা, আজ উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি তাঁর মেয়ে কৃষ্ণার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।