সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদের ট্রাস্টের নামে দেওয়া টাকা যাচ্ছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে! এমনই অভিযোগ তুলে বহরমপুর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পর থেকেই বিতর্কে হুমায়ুন কবীর। বিজেপির ইন্ধনে ধর্মের রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূলের তরফে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন হুমায়ুন। নির্ধারিত দিনেই বেলডাঙায় বাবরি মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন তিনি। ট্রাস্টে লক্ষ লক্ষ মানুষ দান করেছেন। বিদেশি মুদ্রাও দিয়েছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া-র কোষাধ্যক্ষ মহম্মদ আমিনুল শেখের দাবি, ট্রাস্টের তথ্য নকল করে ভুয়ো কিউআর কোড তৈরি করেছে প্রতারকরা। তা ব্যবহার করে নাকি টাকা তোলা হচ্ছে। বিষয়টা জানামাত্রই পদক্ষেপ করেন বিধায়ক। সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে একাধিক ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়েছেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। বিধায়ক জানিয়েছিলেন, মসজিদের শিলান্যাসে সৌদি থেকে আসছেন দুই ইমাম বা ক্কারী। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, তাঁরা আদতে বাংলারই। তৃণমূল সাসপেন্ড করার পর হুমায়ুন জানিয়েছিলেন, তাঁর নিরাপত্তায় হায়দরাবাদের ৮ বাউন্সার আসছে। পরবর্তীতে জানা যায় সেই তথ্যও সঠিক নয়। ওই বাউন্সাররা নাকি ছিলেন কলকাতারই। একের এক এক এই ধরনের ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন। পাশাপাশি বলেছিলেন, "খেই হারিয়ে ফেলছি।"
