অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকে চর্চায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরনোর সময় পরিস্থিতি চরমে ওঠে। আহত হন দুই এসএফআই সদস্য। এরপরই জানা যায়, তাঁদের মধ্যে একজন, অভিনব বসু সাঁকরাইলের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায়। অবশেষে সেই ঘটনায় মুখ খুললেন অভিনবর বাবা অমৃত বসু। স্পষ্ট জানালেন, ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনওরকম সম্পর্ক নেই। এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেছেন অমৃতবাবু। এদিক বাবার পরিচয় ব্যবহারে রাজি নন অভিনবও।

ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে শনিবার নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। হামলার মুখে পড়তে হয় স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীকেও! তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরনোর সময় বাম ছাত্রদের পথ অবরুদ্ধের মাঝেই ব্রাত্যর গাড়ি এগোতে চাইলে এক এসএফআই সদস্য গাড়ির ধাক্কায় জখম হন। সেই সময়ই আক্রান্ত হন আরেক এসএফআই সদস্য অভিনব বসু। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, যাদবপুরের ছাত্র অভিনব বসু হাওড়ার সাঁকরাইলের দাপুটে তৃণমূল নেতা অমৃত বসুর ছেলে। স্বাভাবিকভাবেই চর্চায় চলে আসে গোটা বিষয়টা।
এসবের মাঝেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অমৃত বসু। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "আমি গতকালই ফেসবুকে ঘটনার নিন্দা করেছি। যা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ, অভিনব আমার ছেলে। শুনেছি এসএফআই করে। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। দীর্ঘদিন ধরে সে বাড়িছাড়া। নিজের স্কলারশিপের টাকায় নিজে পড়াশোনা করে। যাদবপুরেই থাকে।" যাদবপুরে ভর্তি হলেই পড়ুয়াদের মগজধোলাই করা হয় বলেও তোপ দাগলেন তিনি। এদিকে বাবার পরিচয় ব্যবহারে রাজি নন অভিনবও। তাঁর সাফ কথা, দু'জনের রাজনৈতিক বিশ্বাস আলাদা। দু'জনই প্রাপ্ত বয়স্ক। বাবা তৃণমূল করতেই পারেন, কিন্তু আমি এসএফআইয়ের সদস্য।"