সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুড়মিদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জের। দিলীপ ঘোষের বাংলোয় ‘হামলা’ কুড়মিদের। অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে রাজ্যের প্রত্যেকটি থানায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর করার হুঁশিয়ারি কুড়মিদের। এদিকে, বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তবে কুড়মিদের হুঁশিয়ারিতে পাত্তা দিতে নারাজ তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ মে। লালগড়ে সভা করতে গিয়ে কুড়মিদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাস্তার উপর বেশ কিছুক্ষণ ঘেরাও করে রাখাও হয় তাঁকে। প্রায় দশ মিনিট রাস্তার উপর ঘেরাও করে রাখা হয়। গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দিলীপ কথা বলতে গেলে তাঁকে ঘিরে জয় গড়াম স্লোগান দিতে শুরু করেন ঘেরাওকারীরা। কুড়মিদের উপজাতিভুক্ত করার দাবি নিয়ে কেন কেন্দ্র সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না, তার জবাব চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ‘ঘাঘর ঘেরা’ কর্মসূচি চলাকালীন তিনি কেন লালগড়ে এসেছেন, তার জবাবও চাওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন মেদিনীপুরের সাংসদ।
[আরও পড়ুন: নবান্নের একাধিক দপ্তরে সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রীর, জানতে চাইলেন হাজিরা কত!]
১৫ মে সোমবার সকালে খড়গপুরে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “ওরা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে সব কাপড় খুলে দেব আমি। দিলীপ ঘোষের পিছনে যেন লাগতে না আসে। হিম্মত থাকলে শ্রীকান্ত মাহাতোকে তারা রিজাইন করাক। যত মাহাতো এমপি আছে, এমএলএ আছে রিজাইন করাক। আমি ওদের সঙ্গে আছি, থাকব। আমার এলাকায় যারা বসেছিল। ধরনা দিয়েছিল দিনের পর দিন। আমি তাদের সহযোগিতা করেছি। ওরা যদি চান আমি নাম মিডিয়ার সামনে বলব।”
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানান কুড়মিরা। সেই দাবিপূরণ না হওয়ায় বুধবার খড়গপুরের দিলীপ ঘোষের রেল কোয়ার্টারে হামলা চালান কুড়মিরা। তাঁরা বাংলো ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। দিলীপ ঘোষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানান কুড়মিরা। যদিও কুড়মিদের আন্দোলনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল নেতাদের উসকানিতে কয়েকজন মদ্যপ হামলা চালিয়েছে বলেই পালটা কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। দিলীপ ঘোষকে পালটা কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। ভাঙচুরের সমালোচনা করেও কুণালের দাবি, দিলীপ ঘোষের প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরে কুড়মিরা এই পদক্ষেপ করেছে। উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশেরই দিলীপকে আগে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল বলেই মনে করেন তৃণমূল মুখপাত্র।
দেখুন ভিডিও: