দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ছিল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। হাসপাতালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মেলেনি পরিষেবা। অর্থের অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল চিকিৎসা। অবশেষে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাতে পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। আর সেই কার্ড ব্যবহার করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের মাজেদ মোল্লা।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে শনিবার। ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় ঈশ্বরীপুর মর্জিনা বিদ্যালয়ে। ‘দুয়ারে সরকারে’র ক্যাম্প বসে কথা আগাম জানতে পারেন মাজেদ মোল্লা। ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের সারেঙ্গাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর বাড়ি। এই খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই ফোন করেন ক্যানিং দু’নম্বর ব্লকের বিডিও প্রণব মণ্ডলকে।
[আরও পড়ুন: জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের হেনস্তার জের, অপসারিত তিলজলা থানার ওসি]
সব কিছু শোনার পর বিডিও শনিবার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে চলে আসতে বলেন। লিভারে টিউমার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। প্রথমে তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন। এরপর পাঠিয়ে দেন আলিপুরে। আলিপুরে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে হাতে হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে দেওয়া হয় অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে।
এ বিষয়ে ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের বিডিও প্রণব মণ্ডল বলেন, “লিভারের টিউমার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আমাকে শুক্রবার ফোন করার পরে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে আনতে অনুরোধ করি। সেই মতো তাঁকে আনাও হয়। সব কাগজপত্র দেখে অবশেষে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পান। চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ওই রোগীকে।” কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড হাতে পাওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অসুস্থ মাজেদ মোল্লা।