রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ভগবানপুরের ভূপতিনগরে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিজেপি কর্মী গ্রামে ঘোরাফেরা করছে। তিন অভিযুক্তকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে গ্রামবাসীরা। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভূপতিনগর। তিন বিজেপিকর্মীকে পুলিশ গাড়িতে তুলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন গ্রামের মহিলা, শিশুরা। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার সকালে ভগবানপুরের এই গ্রামে পৌঁছয় বম্ব কোয়াড ও বিশাল পুলিশবাহিনী। কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ, কারা এর জন্য দায়ী, তা খতিয়ে দেখছিল তারা। তদন্ত চালাচ্ছিলেন আধিকারিকরা। গিয়েছিল বম্ব স্কোয়াডের কুকুরও।
অভিযোগ, সেইসসময় গ্রামে কয়েকজন বিজেপি কর্মী ঘুরে বেরাচ্ছিলেন। যা নিয়ে সমস্য়ার সূত্রপাত। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই তিন বিজেপি কর্মী বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। তারা বহিরাগত। তিনজনকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। গ্রামে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। রাস্তায় মহিলা ও শিশুদের ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
[আরও পড়ুন: কুণালের প্রতিশ্রুতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ, হলদিয়ার ২ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছতে উদ্যোগী রাজ্য]
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে তুলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু মহিলা ও শিশুরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপর বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব়্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তিনজনকেই সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিকে বিস্ফোরণের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল এসব করছে। তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। পালটা তৃণমূলের দাবি, পুলিশের সামনেই হামলা তৃণমূলকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। তদন্তে বাধা দিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি।
পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকায় শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণে ৩ তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত সেখানকার পরিস্থিতি। শনিবার কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই এহেন বিস্ফোরণে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে শাসকদল।
[আরও পড়ুন: SSKM হাসপাতালে অশান্তি, ‘সামলে দিয়েছি’, জুনিয়র চিকিৎসকদের হেনস্তা নিয়ে মন্তব্য মমতার]
This browser does not support the video element.