shono
Advertisement

আবাস যোজনার কাজ পরিদর্শনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল, গাড়ি ঘিরে নালিশ ভগবানপুরের বাসিন্দাদের

কেন্দ্রীয় দলের সফরকে কটাক্ষ তৃণমূলের।
Posted: 05:27 PM Jan 05, 2023Updated: 05:36 PM Jan 05, 2023

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: আবাস যোজনা (Awas Yojona) প্রকল্পের কাজকর্ম দেখতে এসে এলাকাবাসীর অভিযোগের পাহাড় শুনতে হল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) ভগবানপুরে তাঁদের গাড়ি ঢোকামাত্রই হইহই করে গাড়ি ঘিরে ধরেন এলাকাবাসী। অভিযোগ করতে থাকেন, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি পাননি। তাঁদের নামও লেখে না সরকারি দল। পাশাপাশি দাবি তোলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা যেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেন এবং প্রাপ্য পেতে সাহায্য করেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল কেন শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরেই এলেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজনীতিকরণের অভিযোগে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি (Central team) দলের ৩ জন। তাঁদের উপর আবাস প্লাস যোজনার কাজ কেমন চলছে, সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন তাঁরা রাজ্যে এসে প্রথমে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে ভগবানপুর (Bhagabanpur) ১ ব্লকে পরিদর্শনে গেলে তাঁদের ঘিরে ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। প্রতিনিধিদের গাড়ি ঘিরে ধরা হয়। পোস্টার হাতে মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ গিয়ে তাঁদের সামলান। গাড়ি ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পর তাঁরা নিজেদের কাজ করতে পারেন।

[আরও পড়ুন: বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছিলেন অঞ্জলি, দিল্লির তরুণীর মৃত্যুতে অকূল পাথারে পরিবার]

এনিয়ে জেলাশাসক (DM) পূর্ণেন্দু মাজি বলেছেন, ”আমাদের অফিসাররা রাতদিন এক করে কাজ করেছে। ওঁদের উপর আমাদের ভরসা আছে। ৩ জনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এখানে এসেছেন। ঘুরে দেখবেন, অসুবিধে কোথায়?” প্রসঙ্গত এর আগেও ভগবানপুর ১ নং ব্লকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল।

[আরও পড়ুন: বাংলার মিড ডে মিলের মেনুতে এবার মুরগির মাংস, বরাদ্দ অতিরিক্ত প্রায় ৩৭২ কোটি]

এদিকে, তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিনিধিদের সফরকে কটাক্ষ করা হয়েছে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ”শুধু পূর্ব মেদিনীপুর কেন গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল? তার মানে নিশ্চয়ই কোনও ব্যাপার আছে। হল্লা-গুল্লা করাই কাজ।” আরেক মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কটাক্ষ, ”২০১৮ সালে যে সার্ভে হয়েছে, সেই অনুযায়ী কোনও বাড়ি আমরা পাইনি। হঠাৎ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র বলল এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭ লক্ষ নাম বাদ দিয়ে পাঠালেন। মার্চের মধ্যে এগুলো কমপ্লিট করতে হবে। পাঠাল ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা। বাকিগুলো এখনও বাকি। তার কোনও কিছু পাইনি। অথচ কেন্দ্রীয় দল এসেছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার