অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ফের আবর্জনা নিয়ে গোলমাল হাওড়ায়। বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ময়লা ফেলতে নিষেধ করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নতুন করে কোথায় আবর্জনা ফেলা হবে সেই স্থানও নির্বাচন করে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার সকালে সেখানে ময়লা ফেলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন হাওড়া পুরসভার কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরে যেতে হল ২০টির বেশি জঞ্জালবোঝাই গাড়ি। এখনও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই দাবি, এই এলাকায় জঞ্জাল ফেলা যাবে না।

মঙ্গলবারই পুরমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে আর আবর্জনা না ফেলে হাওড়া পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুলিশ অ্যাকাডেমি ও হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়, ফুটবল অ্যাকাডেমির পাশে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ফাঁকা জমিতে মাস দেড়েকের জন্য জঞ্জাল ফেলা হোক। সেই মতো মাঝরাতে থেকে প্রস্তুতিও শুরু করেছিল পুরসভার সাফাই বিভাগ। বুধবার সকাল থেকে আবর্জনা বোঝাই ২০টির বেশি গাড়ি আড়ুপাড়ার নির্ধারিত জায়গায় এসে সার দিয়ে দাঁড়িয়েও পড়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়ে সব গাড়িগুলি রাস্তাতেই আটকে দেন। প্রবল বাধার মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত পুরসভার গাড়িগুলি আবর্জনা না ফেলেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এই নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুরসভার পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে জমিতে আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে বয়স্ক মানুষজন প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন। ফলে এই এলাকায় জঞ্জাল ফেললে সমস্যা হবে। তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি হবে। ফলে হাওড়ার প্রাত্যহিক কয়েক টন আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এখনও ২০টি গাড়ির জঞ্জাল ফেলার ব্যবস্থা করা যায়নি।