তিয়াসা সরকার: অশোকনগরে রেল অবরোধ। অফিস টাইমে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। সকাল আটটা থেকে স্টেশনে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে ট্রেন। রেলগেটও খোলা যায়নি। বিশাল যানজট যশোর রোডেও। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায়। অবরোধ তুলতে লাঠি চালায় পুলিশ। অনেকে জখম হয়েছেন বলে খবর। ২ ঘণ্টা পর ট্রেনের চাকা গড়ায়।
প্রতিদিন সকালে বনগাঁ থেকে একটি ট্রেন টালা পর্যন্ত আসে। এই শাখার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছনোর ভরসা এই লোকাল। শুক্রবার সকালে ঘোষণা করা হয়, ট্রেনটি বারাসত পর্যন্ত যাবে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি, প্রায়শই এই লোকালের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। ফলে ভোগান্তি বাড়ে। এর প্রতিবাদেই এদিন অশোকনগরে অবরোধ শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, আটটা নাগাদ ডাউন মাঝেরহাটটি অশোকনগরে ঢোকার মুখেই অবরোধ শুরু হয়। ফলে স্টেশনে ঢোকার আগেই সেটি আটকে যায়। আপ লাইনেও একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। এদিকে অশোকনগরে ঢোকার মুখে ট্রেন আটকে যাওয়ায় খোলা যায়নি রেলগেট। যশোর রোডে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। সবমিলিয়ে অশোকনগরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোগান্তির শিকার হয় নিত্যযাত্রীরা। বেলা ১০টা পর্যন্ত অশোকনগরে অবরোধ ওঠেনি। তার পর ট্রেনের চাকা গড়ায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অনেকেই আহত হয়েছেন বলে খবর।