বাবুল হক, মালদহ: বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Elections) আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে অনেকেই ‘ঘর ওয়াপসি’র ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মালদহ (Maldah) জেলা পরিষদের সদস্য ডলিরানি মণ্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।
গত নভেম্বরেই কার্যত তৃণমূল (TMC) ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল নেতাদের মধ্যে। একুশের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর আরও একদল তৃণমূল ছাড়ে। কারণ, এবারের নির্বাচনে বহু নতুন মুখকে নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ফলে বাদ পড়েছিলেন অনেক পুরনো সৈনিকরা। যা মোটেও ভালভাবে নেননি তাঁরা। এরপরই একে একে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপির (BJP) পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। সেই সময়ই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মালদহ মানিকচক ব্লকের ভূতনী দ্বীপের ২৩ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য ডলিরানি মণ্ডল। কিন্তু পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়া ঠিক হয়নি বলেই এখন মনে করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মহাশূন্যে বসেই চা-কফি, টাটকা আপেল, লেবুর স্বাদ পাবেন নভোচররা, পৌঁছে দেবে রকেট]
জানা গিয়েছে, ডলিরানি মণ্ডল জানিয়েছে, বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তিনি তৃণমূলেই ফিরতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। যদিও তাঁকে দলে ফেরানো নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি দলের তরফে। এর আগেই সরলা মুর্মু-সহ একাধিক তৃণমূলত্যাগী দলে ফেরার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন। যদিও মালদহের নেত্রী মৌসূম নূরের তাতে সমর্থন ছিল না। সেকথা নিজেই তিনি জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সোনালী গুহ (Sonali Guha) থেকে দিপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas), ‘দিদি’র যেসকল বিশ্বস্ত সৈনিকরা নির্বাচনের মুখে দল বদলেছিলেন, তাঁদের ফেরানো নিয়েও এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) বলেছিলেন, এখনই কাউকে না ফিরিয়ে আগে তাঁদের মনিটরিং করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, লাগাতার দলত্যাগে মালদহ জেলা পরিষদের সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।