বিক্রম রায়, কোচবিহার: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে প্রথম থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। নিশীথ-গড় কোচবিহার উদ্ধার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। আর সেই কারণেই নির্বাচন পরবর্তী সময়ে উত্তরবঙ্গে পা রেখেই প্রথম কোচবিহারে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে মদনমোহন মন্দিরে তিনি মা-মাটি-মানুষের কল্যাণে পুজো দিয়েছেন। তার আগে জেলা নেতৃত্বের কয়েকজনকে ডেকে ছোট বৈঠক করেন মমতা। রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠকে জেলা নেতৃত্বকে তৃণমূল নেত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, উদয়ন গুহ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের প্রতি তাঁর বার্তা, ফলাফলে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে আরও কাজ করতে হবে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাতেও যেন এমনই ভালো ফলাফল হয়।
কোচবিহারে (Cooch Behar) শাসকদলের অভ্যন্তরে একাধিক সমস্যা ছিল। যার জেরে গত কয়েক বছরে একাধিকবার জেলা নেতৃত্বে রদবদল করতে হয়। বার বার বদল হয়েছেন জেলা সভাপতি। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে গিরীন্দ্রনাথ বর্মন - অনেকে নানা সময়ে জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন রবীন্দ্রনাথ-পার্থপ্রতিম গোষ্ঠী, উদয়নের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ গোষ্ঠী। এনিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কোচবিহারে গিয়ে তা মেটাতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে দ্বন্দ্ব ভুলে একযোগে কাজ করার ফসলই ঘরে তুলেছে শাসকদল তৃণমূল (TMC)। উত্তরবঙ্গে প্রথমবার জিতেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
[আরও পড়ুন: প্রেমের গল্প ফেঁদে লিভ ইন, প্রেমিকার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র লুকনো অস্ত্র! ফাঁস যুগলের কীর্তি]
কিন্তু এই ফলাফলে আত্মতুষ্টি নয়। বরং বিবাদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করায় আরও মনোযোগী হতে হবে সবাইকে। মঙ্গলবার সকালে সার্কিট হাউসে উদয়ন গুহ, পার্থপ্রতিম রায়, গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, অভিজিৎ দে ভৌমিক, রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সূত্রের খবর, নেত্রী সকলের প্রশংসার পাশাপাশি উৎসাহ দেন। বলেন, সামনে সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচন আছে। তার পর ২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। ভালো ফল করতে হবে। লোকসভা ভোটে জয়ের আনন্দে ভেসে গেলে হবে না। উল্লেখ্য, এই সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তিনি এখন সাংসদ। তাই সেখানে উপনির্বাচন হবে। তবে কোচবিহার জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে যাওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের পক্ষে উৎসাহব্যাঞ্জক নিঃসন্দেহে।