সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কত দূর? তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দিঘায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউ দিঘায় নেমেই একপ্রস্থ জনসংযোগ সেরেছেন। একেবারে অন্য মেজাজে এলাকার শিশুদের সঙ্গে মেতেছিলেন তিনি।
দিঘা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত হন কাঁথি সংগাঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, তৃণমূলের কাঁথি সংগাঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা, জেলা মহিলা সভানেএী মুক্তারুন বিবি-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাজির জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সৈকত নগরী দিঘা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। নাকা চেকিং করা হচ্ছে। এদিন হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নেমে জনসংযোগ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। 'ঘরের মেয়ে' মমতাকে দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিল কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। তাঁকে দেখার জন্য আমজনতার মধ্যে উন্মাদনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশুদের কোলে নিয়ে আদরও করেন তিনি। তার পরে 'দিঘি' সরকারি আবাসনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সেখানেই রাত্রিবাস করবেন।
স্থানীয় শিশুদের আদরে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
শঙ্খ ধ্বনি ও 'দিদি - দিদি ' সমবেত আওয়াজের মধ্য দিয়ে প্রাণপ্রিয় দিদিকে দিঘায় স্বাগত জানান উপস্থিত জনতা। 'আমি তোমাদেরই লোক'- এমন মনোভাব নিয়ে সোজা জনতার দিকে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। অনুরাগীদের আলতো ছোঁয়ায় যেন উষ্ণতা ছড়ান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাণপ্রিয় দিদিকে হাতের নাগালে পেয়ে আপ্লুত জনতাও।
কাল, বুধবার সকাল থেকে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সালে দিঘায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে পুরীর আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি হবে। এই কাজ হিডকোকে দিয়ে করানো হবে। সেই মতো শুরু হয় কাজ।
পরবর্তীকালে বনদপ্তরের সঙ্গে জায়গা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় সেখানে মন্দিরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মন্দিরের জায়গা স্থানান্তরিত করা হয় নিউ দিঘা অঞ্চলের দিঘা লারিকা হলিডে ইনের পাশে। সেখানে ২২ একর জায়গা জুড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মন্দির তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সেই মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখতে দিঘায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্থানীয় শিশুদের আদরে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।