সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবানীপুরে হারবেন জেনেই এবার নন্দীগ্রামের ‘শরণ’ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভার পরেই একযোগে রাজ্যের শাসকদলের প্রধান মুখকে আক্রমণ করে এই মন্তব্যই করলেন বিরোধীরা।
সোমবার নন্দীগ্রামের মানুষ ও সেখানকার জমি আন্দোলনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামকে নিজের সবচেয়ে লাকি জায়গা বলে উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্তকে ‘বিবেকের ডাক’ বলেও আজ উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “ভবানীপুর বড় বোন আর নন্দীগ্রাম মেজো। দুটো জায়গাই আমার খুব প্রিয়।”
তাঁর এই বক্তব্যের পরেই কটাক্ষ করতে শুরু করেন বিরোধী দলের নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের সহকারী পর্যবেক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট করেন, “গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের আসন ছেড়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে তিনি রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি মানুষকে জানাবেন যে কেন নন্দীগ্রামের প্রতিবাদী কৃষকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আইপিএস সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলে নেওয়া হল?”
[আরও পড়ুন: ‘আমি বেঁচে থাকতে বাংলাকে বিক্রি করতে দেব না’, ফের বিজেপিকে তোপ মমতার ]
যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, “ভবানীপুর থেকে হেরে যাওয়ার ভয়েই এই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় হলদিয়াকে ঘিরে নন্দীগ্রামে শিল্প গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ। কিন্তু, মমতা সেই স্বপ্ন ভেঙেছেন। আর এখন ভবানীপুর থেকে হেরে যাওয়ার ভয়ে অন্য কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চাইছেন।”
এবিষয়ে শুভেন্দুর প্রসঙ্গ টেনে আবদুল মান্নান বলেন, “একা শুভেন্দু যেভাবে মমতার মনে ভয় ধরিয়েছেন তাতেই এই অবস্থা। তবে এটা তো সবে শুরু।” একই সুর শোনা যায় প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের গলাতেও। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আসলে লোকসভার ফল দেখে চিন্তায় পড়েছেন মমতা। কারণ ওই ফলাফলে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে নিজের আসনেই পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। বাধ্য হয়ে তাই গদি বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”