shono
Advertisement
Jalpaiguri

সহকর্মীর বউয়ের সঙ্গে প্রেম, লাগাতার যৌনতা! ময়নাগুড়ির খুনের নেপথ্যে 'পরকীয়া'?

বৃদ্ধার 'টিপসে' উঠোনের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ!
Published By: Paramita PaulPosted: 12:27 PM Jun 05, 2025Updated: 12:27 PM Jun 05, 2025

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: উঠোনের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে এল মৃতের পরিচয়। ময়নাগুড়িতে যুবকের খুনের কারণ হিসেবে উঠে আসছে জোড়া তত্ত্ব-পরকীয়া এবং ধারদেনা! যদিও ময়নাগুড়ির পদমতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রক্ষ্মপুরের পাহাড়পুরের ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। বেপাত্তা অভিযুক্ত দম্পতিও। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অসমে পালিয়েছে তারা।

Advertisement

বুধবার পাহাড়পুর এলাকায় একটি বাইককে বাঁশ ঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দেয় পুলিশকে। তারা এসে আশপাশের বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে গেলে সামনে আসে আরও এক রহস্যজনক ঘটনা। এক বৃদ্ধা দাবি করেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বড় ছেলে পরিমল রায় জানায়, সে কাউকে খুন করে পুঁতে রেখেছে। এদিন সকালে সন্তানদের রেখে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ পরিমল, বয়স ৩৪ বছর ও তার স্ত্রী সঙ্গীতা রায়, বয়স ২৯ বছর। বৃদ্ধার কথার সূত্র ধরে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে উঠোন খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে যুবকের দেহ। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গৌতম রায়। পেশায় কাঠমিস্ত্রি। অসমে পরিমল এবং তিনি একই জায়গায় কাজ করতেন। উল্লেখ্য, পরিমলের স্ত্রী সঙ্গীতার বাপের বাড়ি অসমে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গৌতমের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল সঙ্গীতা। দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল সঙ্গীতা। অভিযোগ, তারই ফলস্বরুপ গৌতমকে খুন করে দম্পতি। তবে অন্য একটি সূত্রে খবর, সহকর্মী গৌতমের কাছ থেকে মোটা টাকা ধার নিয়েছিল পরিমল। সেই টাকা ফেরত চাইতেই দুজনের মধ্যে গোলমাল বাঁধে। এরপরই গৌতমকে খুন করে উঠোনে পুঁতে পালিয়ে যায় পরিমল। তাদের খোঁজে অসমেও তল্লাশি করছে রাজ্য পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • উঠোনের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
  • ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে এল মৃতের পরিচয়। ময়নাগুড়িতে যুবকের খুনের কারণ হিসেবে উঠে আসছে জোড়া তত্ত্ব-পরকীয়া এবং ধারদেনা!
  • যদিও ময়নাগুড়ির পদমতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রক্ষ্মপুরের পাহাড়পুরের ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
Advertisement