জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় দাদু! ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন কিশোরীকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ কার হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা বনগাঁর চাঁদা এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তবে পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দাদুর এহেন 'কীর্তি'তে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নাবালিকা। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা।
মায়ের মৃত্যুর পর থেকে বনগাঁর চাঁদা এলাকায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বাড়িতে থাকত দুই নাবালিকা। কিন্তু রক্ষকই যে এখানে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তারা। ধীরে ধীরে দাদুর আচরণ পালটাতে থাকে। অভিযোগ, বছর চোদ্দর নাতনিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করার পর শারীরিকভাবে লিপ্ত হতো দাদু। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, এসব কথা কাউকে বললে শংকর তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। আশ্রিতা নাবালিকাও ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
কিন্তু রবিবার দুপুরে আচমকাই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবার, প্রতিবেশীরা তা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতেই পাড়ার এক মহিলাকে দাদুর 'কীর্তি'র কথা সবিস্তারে জানায় নাবালিকা। এর পর ওই প্রতিবেশীর তৎপরতায় বনগাঁ থানায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নাতনিকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে শংকরকে আটক করে, পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দাদুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে। মাতৃহারা নাতনিরা যে দাদুর বাড়িতে সুরক্ষিত নয়, তা নিয়েও কথা হচ্ছে।