shono
Advertisement
Rishra

'তৃণমূল করি', আদালতে যাওয়ার পথে সদর্প ঘোষণা শুটআউটে অভিযুক্তের!

জানা গিয়েছে, আগে বজরং দল করত অভিযুক্ত রঞ্জন। এনিয়ে জেলায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 08:28 PM Nov 13, 2024Updated: 08:28 PM Nov 13, 2024

সুমন করাতি, হুগলি: রিষড়ায় শুটআউটের ঘটনায় অভিযুক্তের নিস্পৃহ ভাব ততটা বিস্মিত করেনি। অবাক করল তার আদবকায়দা এবং মন্তব্য। কোমরে দড়ি পরিয়ে থানা থেকে অভিযুক্তকে আদালতের পথে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রীতিমতো গোঁফে তা দিতে দিতে সে সদর্পে ঘোষণা করল, 'তৃণমূল করি।' আর তার এই কেতায় চোখ কপালে দুঁদে পুলিশকর্তাদের। অভিযুক্তের এই মন্তব্যে শুরু রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। ওইদিন সকালে রিষড়ার বাগখালে এক ব্যাক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন আনসারি। হঠাৎ তাঁর মাথায় গুলি করে রঞ্জন যাদব নামে এক ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শামসুদ্দিনকে প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার মল্লিকবাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও এখনও সংকট কাটেনি তাঁর। এই অবস্থায় বাগখালে শুটআউটের ঘটনায় অভিযুক্ত রঞ্জন যাদবকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতকে বুধবার পাঠানো হয় শ্রীরামপুর আদালতে। উত্তরপাড়া থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে নির্বিকার ছিল রঞ্জন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোঁফে তা দিতে দিতে সে দাবি করল, 'তৃণমূল করি।'

স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাবা একসময় শামসুদ্দিনের গাড়ি চালাতেন। এক বছর আগে নাকি শামসুদ্দিন রঞ্জনের মাকে মারধোর করেছিলেন। সেই রাগে সে শামসুদ্দিনকে গুলি করেছে। আক্রান্তের ভাই মহঃ নসরত বলেন, ''ওর মাথায় হাত আছে তৃণমূলের। এই ঘটনার ঠিকমতো অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন।'' ব্যবসায়ীর বন্ধু আফতাব আলমের কথায়, ''আগে বজরং দল করত অভিযুক্ত রঞ্জন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে মারামারি করে জেল খাটে। নিশ্চয়ই কেউ ওর পিছনে আছে, নাহলে আগ্নেয়াস্ত্র পেল কীভাবে?''

এনিয়ে বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্তর বক্তব্য, ''তৃণমূল এসব সমাজ বিরোধীদের প্রশ্রয় দেয়, আশ্রয় দেয়। ভোট লুট, রিগিং করার জন্য এই ধরনের লোকেদের দরকার।'' শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ''এসব কথা যারা হেরে যায়, তারা বলে। আমাদের এখানে কিছুদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। এই অভিযোগ কেউ করতে পারেনি। অভিযুক্ত তৃণমূল করে বলে যে দাবি করেছে সেটা সর্বৈব মিথ্যা। এই ধরনের সমাজবিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, অভিযুক্ত বজরং দলের সদস্য। যে বজরং দল করে সেবার তৃণমূল করতে পারে নাকি?এসব বিজেপির সাজানো গল্প।''

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement