শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি কেন পাঠানো হবে না? সেই নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে ঝামেলা জামাইয়ের। শুধু তাই নয়, শাশুড়িকে মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পরেই পলাতক অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির মাদ্রাসা পাড়া এলাকায়। জখম নুরিমা বেগম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদ্রাসা পাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত জামাইয়ের নাম নূর ভক্ত। এর আগে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে জেল খাটতে হয়েছে তাকে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। একসময় বাধ্য হয়ে ধূপগুড়ি থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। সেজন্য জেলও খাটতে হয়েছে নূর ভক্তকে। এদিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপেরবাড়ি চলে আসেন স্ত্রী।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বাড়ি ফেরেন নূর ভক্ত। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, স্ত্রী ফিরে যাবেন না। এরপরেই খেপে যায় ওই ব্যক্তি। কেন স্ত্রী ফিরে যাবেন না? জানতে সটান চড়াও হয় ওই যুবক। স্ত্রী ফিরে যাবে না। সেই কথা জানার পরেই খেপে যায় জামাই। শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় হামলা চালানো। তাকে আটকাতে গিয়েছিলেন শাশুড়ি নুরিমা বেগম। তাঁকেও মারধর করা হয়। কুড়ুল দিয়ে মাথায়, পিঠে কোপ মারা হয়।
তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা আসার আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। গ্রামবাসীরাই জখম মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে রেফার করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তিনি ভর্তি রয়েছেন। ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।