shono
Advertisement

গ্রাম্য বিবাদের জেরে প্রাণহানি, এক গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করায় অপর গ্রামবাসীকে পিটিয়ে খুন!

দিন কয়েক আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র ঘিরে বিবাদের সূত্রপাত।
Posted: 02:37 PM Nov 08, 2022Updated: 04:20 PM Nov 08, 2022

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফের রাজ্যে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। পুরুলিয়ার (Purulia) রঘুনাথপুরের আশাড়িকেন্দ গ্রামে পিটিয়ে (Lynching) এক এক প্রৌঢ়কে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত সাঁতুড়ির বৃন্দাবনপুর গ্রাম। পরিস্থিতি এতটাই উত্তাল যে সামাল দিতে দুই গ্রামের রঘুনাথপুর এবং সাঁতুড়ি থানার পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে বৃন্দাবনপুর মাঠে একটি ফুটবল খেলা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। বৃন্দাবনপুর বাউড়ি পাড়ার সঙ্গে রঘুনাথপুর (Raghunathpur) থানার অন্তর্গত আশাড়িকেন্দ গ্রামের বাসিন্দাদের ঝামেলা চরমে ওঠে। সম্প্রতি ফের ঝামেলা বাঁধে। তাতে মধ্যস্থতা করতে যান বেশ কয়েকজন। গ্রামবাসীদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। দুই গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একে অপরের গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করলেও মাঝেমধ্যে ঝামেলা হতে থাকে।

[আরও পড়ুন: ইরানের আন্দোলনের আঁচ ভারতে, আমিনিকে সমর্থন করে হিজাব পোড়ালেন কেরলের মহিলারা]

সোমবার রাতে গ্রামের হাট থেকে ফিরছিলেন বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ছাপ্পান্নর শিশির বাউরি। তিনি আসাড়িকেন্দ গ্রাম হয়ে নিজের গ্রামে ফেরার সময় সেখানকার রাস্তা ব্যবহার করায় সেই গ্রামের কয়েকজন শিশিরের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় শিশিরকে বৃন্দাবনপুর গ্রামের লোকজন রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন।

[আরও পড়ুন: ২০১৭’র টেটে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের, ২০১৪’র নম্বরও জানা যাবে চলতি সপ্তাহে]

রঘুনাথপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। আসাড়িকেন্দ গ্রাম এখন পুরুষশূন্য। উত্তপ্ত পরিস্থিতি বৃন্দাবনপুর গ্রামের। অবস্থা সমাল দিতে দুই গ্রামে বসেছে পুলিশ পিকেট। গণপিটুনি রুখতে আইনি পথে হেঁটেছিল রাজ্য সরকার। বিধানসভায় বিল পাশ করানো হয়। গণপিটুনির মতো হিংসাত্মক ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির নিদান রয়েছে। কিন্তু তারপরও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার