shono
Advertisement

পূর্বাঞ্চলে বাদাম চাষের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হবে মেদিনীপুর

দু’বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পর্ষদ৷ The post পূর্বাঞ্চলে বাদাম চাষের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হবে মেদিনীপুর appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:14 PM Nov 03, 2016Updated: 12:44 PM Nov 03, 2016

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: ভারতীয় কৃষি উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে বাদাম চাষের উপর পূর্বাঞ্চলের গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে মেদিনীপুরে৷

Advertisement

বুধবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় সরকারি ওই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর মউ স্বাক্ষরিত হয়৷ হাজির ছিলেন গুজরাতের জুনাগড়ের ভারতীয় কৃষি উন্নয়ন পর্ষদের অধিকর্তা টি রাধাকৃষ্ণণ, ওই পর্ষদেরই প্রধান সচিব কমলকৃষ্ণ পাল, রাজ্যের কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য, পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা আশিস লাহিড়ী, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ-সহ জেলার কৃষি আধিকারিকরা৷ যে জমিতে বাদাম গবেষণাকেন্দ্র গড়ে উঠবে সেই এলাকাও ঘুরে দেখেন তাঁরা৷

বোরো চাষের ভার কমাতে অনেক আগে থেকেই এরাজ্যের চাষিদের দিয়ে তৈলবীজ জাতীয় শষ্য চাষ করাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার৷ এজন্য নানাভাবে উৎসাহিতও করা হচ্ছে কৃষকদের৷ রাজ্য কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য বলেছেন, বোরোচাষে প্রচুর জল লাগে৷ পুরোটাই হয় বিকল্প সেচের মাধ্যমে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুগর্ভস্থ জল ব্যবহার করা হয় সেচের জন্য৷ বহু জায়গাতেই দেখা দিচ্ছে আর্সেনিকের সমস্যাও৷ তাই ফসলের বৈচিত্রকরণ ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ বিকল্প হিসাবে ভুট্টা, তিল, বাদামজাতীয় চাষে উৎসাহিত করা হয়৷

সেই উদ্যোগে কাজও হয়েছে৷ ২০১১-১২ সালে যেখানে সারা রাজ্যে ১৫ লক্ষ হেক্টর বোরো চাষ হত সেখানে এখন বোরো চাষ হয় প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ হেক্টর জমিতে৷ প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর জমির বোরো চাষ কমানো গিয়েছে৷ পাশাপাশি বেড়েছে তৈল বীজের চাষ৷ বাদাম যেখানে আগে মাত্র ২০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হত, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ হেক্টর৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পূর্বাঞ্চলের বাদাম গবেষণাকেন্দ্র স্থাপিত হলে এই চাষে মানুষের উৎসাহ আরও বাড়বে৷ দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, হুগলি-সহ রাজ্যের মোট ছটি জেলায় বাদাম চাষ বেশি হয়৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে কৃষি ভবনের পাশের খামারে প্রচুর জমিও আছে৷ সেখান থেকেই সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার এই আঞ্চলিক গবেষণাকেন্দ্রের জন্য ২৫ একর জমি ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পর্ষদকে৷ যা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে ওই পর্ষদই৷

পর্ষদের অধিকর্তা টি রাধাকৃষ্ণণ বলেছেন, দেশের পূর্বাঞ্চলে বাদাম চাষে চাষিদের উৎসাহ দেওয়ার জন্যই তাঁরা এই গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে৷ মাথায় রাখা হবে এখানকার প্রান্তিক চাষিদের কথাও৷ সংরক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি চাষিদের উন্নতমানের বীজ সরবরাহও করবেন তাঁরা৷ চাষিদের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের পদ্ধতিও শেখানো হবে৷

পরিতোষবাবুর কথায়, বাদাম চাষে ফলন সব থেকে বেশি হয়৷ প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ২২ কুইন্টাল বাদামের ফলন হয়৷

এরাজ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ তৈল বীজের ঘাটতি আছে৷ তাই বিকল্প এই তৈলবীজ জাতীয় শস্য উৎপাদনের দিকেই চাষিদের আরও বেশি করে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষকমহলে উৎসাহ দেখা দিয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মতো অনেক চাষি বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এখন দেশের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের আনন্দপুরে এধরনের একমাত্র গবেষণাকেন্দ্র আছে৷ আগামী দু’বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় গবেষণাকেন্দ্রটি স্থাপন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরেই৷

The post পূর্বাঞ্চলে বাদাম চাষের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হবে মেদিনীপুর appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement