জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ১৫ বছরের ধর্ষিতা নাবালিকা তাঁর সৎ বাবার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সৎ বাবার দুই বন্ধু আদালত চত্বরেই তাকে এবং তাঁর মাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এই ঘটনায় শনিবার দুপুরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বনগাঁ মহকুমা আদালতে। তাঁদের দুজনের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার মায়ের দুটি বিয়ে। আগের পক্ষে দুটি মেয়েও আছে। সকলে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। অভিযোগ, গত বছর জুন মাসে নাবালিকাকে ভুল বুঝিয়ে গোপালনগরের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সৎ বাবার একটি ভাড়া নেওয়া ঘর ছিল। সেখানে মেয়েটিকে আটকে রেখে রাতে ধর্ষণ করা হয়। পরে বাড়িতে ফিরে মাকে সব জানায় মেয়ে। পরে মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। এখন তিনি জেলে রয়েছেন। বনগাঁ মহকুম আদালতে ওই মামলার শুনানি চলছে। এদিন আদালতে নাবালিকার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা।
বিচারকের সামনে সাক্ষ্য দিতে উঠে সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, "মেয়েটিকে আদালত কক্ষের বাইরে নিয়ে গিয়ে কান্নার কারণ জানতে চাওয়া হয়। সে জানায়, তার সৎ বাবার দুই বন্ধু এসে তাকে এবং তার মাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। সৎ বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বারণ করা হয়েছে।" সমীরবাবু বিচারককে বিষয়টি জানান। এরপরেই আদালতে আসেন গোপাল নগর থানার ওসি অসীম পাল। আদালত চত্বরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি ওই মেয়েটিকে হুমকি দিচ্ছে। সমীর দাস বলেন, "নাবালিকা ও তার মায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বিচারক পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। যারা হুমকি দিয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বার করতেও বলা হয়েছে।" এই ঘটনায় নাবালিকা ও তার মা আতঙ্কিত। পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।