জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কাজের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে আনা হয়েছিল এক তরুণীকে। কাজ তো দেওয়া হয়ইনি, উল্টে তাঁকে পাচারের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ পেয়ে ওই বনগাঁ থানার পুলিশ অভিযানে নামে। ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেল থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার বাটামোর এলাকায়। শিমুলতলা এলাকার এক বাসিন্দা বনগাঁ থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর ১৯ বছরের মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়। মেয়েকে সীমান্তবর্তী এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানেই তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ রবিবার রাতেই সেই হোটেলে অভিযান চালায়। হোটেলের একটি ঘর থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম রিজাউল শেখ, আনাজ মণ্ডল, গোপাল গাইন ও হাফিজুল মণ্ডল। ধৃত রেজাউল শেখ ও আনাজ মণ্ডল ওই হোটেলের কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাঁদের বাড়ি বাগদা থানার নাটাবেড়িয়া ও পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর এলাকায়। অন্য দুজন গোপালনগর থানার পোলতার বাসিন্দা। তাঁরা ওই হোটেলে উঠেছিলেন।
ওই তরুণীকে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে। সোমবার তাঁদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।