সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন খারাপ দার্জিলিংয়ের, কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরলেন সৎপাল। চপার দুর্ঘটনার চার দিন পর রাজ্যে এসে পৌঁছাল প্রয়াত সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (CDS Bipin Rawat) নিরাপত্তারক্ষী দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) বাসিন্দা শহিদ সৎপাল রাইয়ের (Havildar Satpal Rai) দেহ। বুধবার তামিলনাড়ুর (Taminadu) কুন্নুরে কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক-সহ ১৪ জন। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হাবিলদার সৎপাল রাইয়েরও।
রবিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে দিল্লী (Delhi) থেকে বাগডোগরায় (Bagdogra) আনা হয় শহিদ সেনা জওয়ানের দেহ। এরপর ব্যাংডবি সেনা ছাউনিতে তাঁকে সামরিক মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়ি দার্জিলিংয়ের তাকদায়। আগামীকাল সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে প্রয়াত জওয়ানের শেষকৃত্য।
[আরও পড়ুন: পুলিশের ‘মারে’ দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দিমৃত্যু, প্রতিবাদে বিটি রোড অবরোধ, টিটাগড়ে ধুন্ধুমার]
রবিবার ব্যাংডুবি সেনা ছাউনিতে শহিদকে সম্মান জানায় সেনা। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তার স্ত্রী মন্দিরা রাই, ছেলে বিকল রাই। এছাড়াও শেষ শ্রদ্ধা জানান দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista), দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নিরজ জিম্বা (Niraj Jimba), মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব (Goutam Deb), শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাও পাটিল সহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারীকরা।
এদিকে প্রয়াত গোর্খাসেনাকে শেষ বারের মতো দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার গ্রাম। রবিবার সেনাছাউনিতে হাবিলদার সৎপাল রাইকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পরই তাঁর পার্থিব দেহ নিয়ে পরিবারের লোকেরা তাকদার গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
[আরও পড়ুন: কান্দিতে তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত ৪, মোবাইল ট্র্যাক করেই মিলল হদিশ]
উল্লেখ্য, দার্জিলিংয়ের তাকদা চা বাগানের মানায়দারা গ্রামের বাসিন্দা হাবিলদার সৎপাল রাই। বাড়িতে মা সন্তু মায়া রাই, স্ত্রী মন্দিরা রাই সহ ৬ বছরের ছোট্ট কন্যা মুস্কান রাই রয়েছে।শহিদ জওয়ানের ছেলে বিক্কল রাইও সেনাতে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরেই হাবিলদার সৎপাল রাই সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি সেনায় যোগ দিয়েছিলেন। অবসর নেওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। কিন্তু তার আগেই ভয়ঙ্কর কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এই সেনা জওয়ান।