সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের মৃত্যুর পর পেরিয়েছে প্রায় ৭ মাস। বোমাবাজিতে জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জল গড়িয়েছে হাই কোর্ট পর্যন্ত। কিন্তু নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সাবিনার মেয়ে তামান্না খাতুনকে হারানোর ক্ষতে প্রলেপ পড়েনি। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাড়িতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তামান্নার মা। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় বরাতজোড়ে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি।
গত ২৩ জুন, কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন দুপুরে বোমাবাজিতে মৃত্যু হয় মোলান্দি গ্রামের ৯ বছরের নাবালিকা তামান্না খাতুনের।স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা তোলপাড় পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে কঠোরতম শাস্তির জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশও দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বোমাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে কালীগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক আলিফা আহমেদ জানান, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। একটা বাচ্চাকে হারানো খুব বেদনার। তবে এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করে দোষীদের গ্রেপ্তার করেছে।
তবে মায়ের মন তো মানে না। পরবর্তীতে গত জুলাই মাসে মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কালীগঞ্জের নিহত নাবালিকা তামান্না খাতুনের পরিবার। সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্ত চেয়েছে পরিবার। কিন্তু তারপরও পেরিয়েছে বহুদিন। প্রতিমুহূর্তে মেয়ের স্মৃতি তাড়া করছে সাবিনাকে। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, অবসাদে ভুগছিলেন মহিলা। মঙ্গলবার নাকি একাধিক ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন তিনি। টের পাওয়ামাত্রই পরিবার ও প্রতিবেশীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
