সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের লড়াইয়ে বাংলায় তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি। দুই যুযুধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্য়ে তরজা বেড়েই চলেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিচ্ছে। রবিবার হলদিয়ার জনসভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু পাশাপাশি এদিন তিনি এক নতুন অভিযোগ সামনে আনলেন, যা নিয়ে বেজায় চটেছেন বিরোধীরা। মোদির মন্তব্য, ”তৃণমূলের সঙ্গেই এবার মূল লড়াই হবে। তবে ভুলে যাবেন না, আরও দুই দল রয়েছে – বাম, কংগ্রেস, যারা তলে তলে গোপন বৈঠক করছে। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের (Left-Congress-TMC)মধ্য়ে ম্যাচ ফিক্সিং চলছে। এদের থেকে সাবধান।”
এর আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার পর বিভিন্ন জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর বার্তা ছিল, তৃণমূলকে হারাতে হলে বিজেপিকে ভোট দিন। কিন্তু রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কথায় ঠিক উলটো সুর। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল ম্যাচ ফিক্সিং করছে। দিল্লিতে গোপন বৈঠক হচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্য থেকেই বোঝা গেল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে মূল প্রতিপক্ষ ধরে রণকৌশল সাজালেও বাম-কংগ্রেসকে নিতান্ত কম গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই চালু হবে ‘কিষাণ সম্মান নিধি’, হলদিয়ায় বড় ঘোষণা মোদির]
তাঁর এই অভিযোগের পর যথারীতি বিরোধী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) পালটা বক্তব্য,”বামেদের সঙ্গে নয়, ম্যাচ ফিক্সিং হচ্ছে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রীরও চিন্তা হচ্ছে বামেদের নিয়ে! এতদিন শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়রা যা বলছিলেন, এখন তা মোদির গলাতেও শোনা হচ্ছে। বামেরা কোথায় আছে? তাদের তো মাইক্রোস্কোপে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে তাদের নিয়ে এত চিন্তা কেন প্রধানমন্ত্রীর?” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য়কে ভালভাবে নেয়নি কংগ্রেসও। তবে বাংলার ভোটে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের আঁতাঁত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ নতুন মাত্রা যোগ করল নিঃসন্দেহে।