ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কম বয়সে বিয়ে এবং সন্তানধারণের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে। এমনই তথ্য দিচ্ছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্প। বিশেষত ‘টিন এজ প্রেগন্যান্সি’ (Teenage Pregnancy) বাড়ছে। ফলে শিশু ও প্রসূতিদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (National Health Mission) প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত ১৩-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে। প্রসূতি হওয়ার সংখ্যাও উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য দপ্তরের প্রধান সচিবদের সঙ্গে আলোচনায় এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। দ্রুত এই সমস্যা মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দপ্তরকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। শনিবার নবান্নের বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: সোমবার থেকে আর ট্রেনে হকারি নয়, হাওড়া ডিভিশনের নয়া নির্দেশিকায় মাথায় হাত হকারদের]
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী মূলত, সীমান্তবর্তী জেলায় এই সমস্যা বেশি। কম বয়সে বিয়ে ও সন্তানধারণের ফলে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুও একটা বড় সমস্যা হয়ে উঠছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই সমস্যা দ্রুত মেটাতে ১৮ বছরের কম বয়সের বিবাহিত মহিলা ও স্বামীর কাউন্সেলিংয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গর্ভনিরোধক ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এই কাজে আশা ও অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের মাধ্যমে প্রচার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে আরও সক্রিয় করতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব এই কাজে ইউনিসেফকে যুক্ত করার উপর গুরুত্ব দেন।
নবম-দশম শ্রেণিতে জীবন শৈলীর বিষয়ে পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, তার আগেই যদি এই বিষয়ে কিছুটা পাঠ্যসুচির অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয় তার জন্য রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিবকে উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেন মুখ্যসচিব।