বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে বেশ কয়েকটি পরিবার ভিনরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। কোচবিহার (Cooch Behar) থেকে অসম সীমানা লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে সপরিবারে গা ঢাকা দিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। সেসব জায়গায় শিশুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সামগ্রিকভাবে এ রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার প্রভাব পড়ছে ছোটদের উপর, বিপন্ন হচ্ছে শৈশব। এই অভিযোগ তুলে কোচবিহারের পুলিশ সুপার, জেলাশাসককে চিঠি পাঠাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)। এই দুই চিঠি নিয়ে আবার টুইট করেছেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর বক্তব্য, যথাযথ বিচার পাইয়ে দেওয়ার পথে এগোচ্ছে কেন্দ্র। বিচারব্যবস্থার প্রতি ভরসা আছে।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নান এবং জেলাশাসক পবন কাদিয়ানকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেখানে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের রাজনৈতিক অশান্তির প্রভাব কীভাবে শিশুদের উপর পড়ছে, তা জানাতে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন কমিশনের সম্পাদক রূপালি বন্দ্যোপাধ্যায় সিং। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কমিশনের মূল অভিযোগ, রাজনৈতিক অশান্তি থেকে বাঁচতে সন্তান, পরিবার নিয়ে অসমে পালিয়েছেন কোচবিহারের বেশ কয়েকটি পরিবার। অসমের ধুবড়ি-সহ একাধিক জেলার ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘিত। আতঙ্কে শৈশব কাটছে তাদের, যা মোটেই কাম্য নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যেরই উচিত সেইসব শিশুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। বিষয়টি সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে ওয়াকিবহাল করতেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে ৩ পাতার চিঠি দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।
[আরও পড়ুন: বাবা-মাকে দীক্ষা দেওয়ার অজুহাতে আলাপ, নাবালিকাকে অপহরণ, ফাঁস ‘গুরুদেবে’র কুকীর্তি]
কেন্দ্রীয় সংস্থার এই পদক্ষেপকে সামনে রেখে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। টুইটারে তিনি চিঠি পোস্ট করে লিখেছেন, এটাই কেন্দ্রীয় সরকার করে থাকে, কাউকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য। তবে এই বিচারে শাস্তি কঠোরতর হবে বলেই আত্মবিশ্বাস তাঁর।