shono
Advertisement

Cyclone Jawad: চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, বাংলায় বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত NDRF

নবান্নে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
Posted: 04:05 PM Dec 02, 2021Updated: 04:42 PM Dec 02, 2021

নব্যেন্দু হাজরা: চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ (Cyclone Jawad)। বাংলায় দুর্যোগের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়ে গিয়েছে। অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ঠিক কী কী বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েই আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাতেও। তাই তৎপর প্রশাসন। নবান্নে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। উপকূলবর্তী জেলার জেলাশাসকদের এই বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। রাতেই শক্তি বাড়িয়ে তা গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে। শনিবার সকালে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। তার প্রভাবে শুক্রবার সকালের পর থেকে বদলাবে আবহাওয়া। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। রবিবার কলকাতা-সহ হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। অতি ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

[আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা, ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের]

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ নিয়ে সতর্ক নবান্ন। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টায় নবান্নে উপকূলবর্তী জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনে মাইকিং শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার কথাও বলা হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রায় সব রকমের বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আটটি দল রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে আরও আটটি দল মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি ফ্লাড সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের ফসল তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘দাদাগিরি’, বাইক পার্কিং নিয়ে বচসায় তরুণকে মার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার