রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: এবার নদিয়ার শিকারপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে জটিলতার মুখে পড়ল বিএসএফ। গ্রামবাসীদের দাবি, কাঁটাতারে একটি লোহার গেট বসাতে হবে। গেট ছাড়া কাঁটাতার বসলে অদূরের মাথাভাঙা নদীর জল ও পাশের শ্মশান ব্যবহার করতে পারবেন না তাঁরা। তবে কাঁটাতার লাগানোর বিপক্ষে নন তাঁরা। বিএসএফ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। একটি অংশ ছেড়ে বাকি অংশে কাঁটাতার বসানোর কাজ চলছে।
শিকারপুর বিডিও অফিসের পাশে মাথাভাঙা নদীর পাড়ে প্রায় ১.৩ কিলোমিটার জায়গাতে এতদিন কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। জমি অধিগ্রহণ, বিএসএফ-বিজিবি দীর্ঘ আলোচনার পরে জটিলতা অতিক্রম করে মাস ছয়েক আগে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে লোহার অ্যাঙ্গেল ও পিলার বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মুরুটিয়া থানার শিকারপুর কুটিপাড়া এলাকায় সেই অ্যাঙ্গেলে কাঁটাতার লাগানোর কাজ শুরু হয়েছিল। তখনই বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
কুটিপাড়া এলাকায় কয়েকশো পরিবারের বাস। কাঁটাতার বসানোর খবর পেয়ে সীমান্ত জড়ো হতে থাকেন তাঁরা। দাবি তোলেন, একটি লোহার গেট লাগাতেই হবে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তাঁরা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু এই বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হলে তাঁরা মাথাভাঙা নদীর জল ব্যবহার এবং শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই এই স্থানে একটি গেট রাখা রাখতে হবে। বিএসএফকে বিষয়টি জানানোর পাশপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং বিদেশমন্ত্রকের কাছেও আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন রায়, করিমপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তাপস মণ্ডল। দুজনেই জানান, "গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে লোহার গেট বসানোর দাবি জানিয়েছিল। বিএসএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই জায়গা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া হলেও এই স্থানে এলাকার মানুষের সুবিধার্থে একটি গেট রাখা হবে। কিন্তু শনিবার গ্রামবাসীরা লক্ষ করেন গেট না রেখে সমস্ত জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। তাতেই আপত্তি জানান গ্রামবাসীরা। আমরাও বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা জানিয়েছে এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।"