অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নির রহস্যমৃত্যু। কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই এই পরিণতি। যদিও এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম স্বাগতা ভট্টাচার্য। আদতে তমলুকের বাসিন্দা তিনি। পেশায় চিকিৎসক। দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। বছর পাঁচেক আগে বিয়েও হয়েছিল তাঁর। তবে সেই সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না বলেই খবর। দম্পতির মধ্যে বনিবনা ছিল না। যার জেরে মাস ছয়েক আগে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ দিকে মাস ছয়েক আগে বদলি হয়ে যান খড়গপুরে সদ্য তৈরি হওয়া শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। নতুন চাকরিতে যোগ দিয়ে মায়ের সঙ্গে কোয়ার্টারে থাকতে শুরু করেছিলেন স্বাগতা।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের অসহযোগিতার জের, আপাতত বন্ধ বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নাম নথিভুক্তের কাজ, জানালেন মমতা]
পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে মাকে বাজারে যেতে বলেছিলেন স্বাগতা। বাজারে গিয়ে স্বাগতার মা তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু স্বাগতাকে ফোনে পাননি। এরপর বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। মেয়েকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া পাননি মেয়ের। এরপর জানলা দিয়ে দেখতে পান, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে মেয়ের দেহ। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশ। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন, “মানসিক অবসাদ ছিল। সেটা আমরা জানতাম। তবে এরকম হবে ভাবিনি।” খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমস্যায় ছিলেন স্বাগতা। সেই কারণেই চরম পদক্ষেপ। তবে কর্মজীবনে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা জানা যায়নি। তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।