সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ঝাড়খণ্ড থেকে বীরভূম হয়ে নীলগাই (Nilgai) কাঁকসার জঙ্গলমহলে। কাঁকসার জঙ্গলমহল ও লাগোয়া দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুরেও হদিশ মিলেছে নীলগাইয়ের। বন দপ্তরের অনুমান, তৃণভোজী নীলগাই পর্যাপ্ত খাবার ও জঙ্গলের ঘনত্বের লোভেই আস্তানা গড়েছে এখানে।
বছর দেড়েক ধরেই কাঁকসার বিশাল জঙ্গলমহল কিংবা প্রতাপপুরের ঘন জঙ্গলে ইতিউতি দেখা মিলছে নীলগাইয়ের। এই এলাকায় প্রায় ২০টির মতন নীলগাই আছে বলেই বন দপ্তরের অনুমান। নীলগাইয়ের সংখ্যা নিয়ে বন দপ্তরের এখনও পর্যন্ত কোনও সমীক্ষা না হলেও নজরদারি করার সময়েই দপ্তরের কর্মীদের নজরে এসেছে নীলগাই।
[আরও পড়ুন: বাস্তবের ‘দশভি’! দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে তাক লাগালেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক]
কী করে কাঁকসায় এল নীলগাই? বাংলা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে একাধিক নীলগাই রয়েছে। কিন্তু নগরোন্নয়নের ধাক্কায় ক্রমেই কমছে জঙ্গলের ঘনত্ব ও বন্যপ্রাণীদের খাবার। তাই ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বীরভূমের জঙ্গল দিয়ে নীলগাই খাবারের সন্ধানে কাঁকসায় আসতে পারে বলে মনে করছে বনদপ্তর। কাঁকসার জঙ্গলমহল থেকেই নীলগাই ঢুকেছে দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুরের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে। এই এলাকার জঙ্গলের ঘনত্ব ও পর্যাপ্ত খাবারের লোভেই বাসা বদল করেছে নীলগাইয়ের দল।
তবে নীল গাইয়ের এখানে বাসা বাঁধা নতুন কিছু নয় বলেই বনদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি। বর্ধমানের বেশ কিছু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই নীলগাইয়ের বাস। এবার তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে এই জেলাতেও। কাঁকসার বনদপ্তরের আধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “বছর দেড়েক আগেই এখানে নীলগাইয়ের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। নজরদারির সময়েই আমাদের নজরে পড়ে নীলগাই।”