জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সিএএ (CAA) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাপানউতোর চলছে বাংলায়। প্রথমের থেকেই এর বিরোধিতায় সরব শাসকদল। সরাসরি সিএএ লাঘুর পক্ষে সওয়াল না করলেও সোমবার মতুয়াদের নাগরিকত্বের দাবিতে সুর চড়ালেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। পাশাপাশি মহাসংঘের স্বার্থে প্রয়োজনে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে এক মঞ্চে থেকে কাজ করার কথাও বলেন তিনি। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ বনগাঁ মহকুমার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের নিয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। সেখান থেকেই নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ভারতের নাগরিক। রাজনীতির বলি হতে পারব না আমরা।” তবে কি নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে তিনি? এপ্রশ্নের উত্তরে তিনি সাফ বলেন, “আমরা নিশর্তে মতুয়াদের নাগরিকত্ব চাই।” সম্প্রতি তাঁর পরিবারের সদস্য বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে তৃণমূলে আহ্বান করেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সে প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেননি মমতাবালা ঠাকুর। তবে শান্তনু ঠাকুরের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা জিইয়ে রেখেই তিনি বলেন, “পারিবারিক সমস্যা থাকতেই পারে। মতের মিল নাও হতে পারে। পার্টির ব্যাপারে পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে কে থাকবে, কে থাকবে না। আমাকে সন্মান দিয়েছে, যতদিন দেবে তত দিন দলে থাকবো। মতুয়াদের স্বার্থে শান্তনু ঠাকুরের পাশে থেকে লড়তেও আপত্তি নেই।”
[আরও পড়ুন: জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের পদ্ধতিতে সরলীকরণ, জানেনই না সরকারি অফিসার! চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মমতা]
আইন পাশ হওয়ার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও কেন লাগু হচ্ছে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)? প্রশ্ন তুলে রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। রবিবার কালনার শ্রীরামপুরে মতুয়া মহাসংঘের মহা সম্মেলনে মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের উদ্দেশে শান্তনু বলেছিলেন, “২০১৯ সালে আইন হলেও তা কার্যকর করতে এত ভয় কিসের? বিরোধিতার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। দাঙ্গার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। কেউ দাঙ্গা করলে সেটা আমরা বুঝে নেব।” সেই থেকেই জোরাল হয়েছিলেন তাঁর দলবদল নিয়ে কানাঘুঁষো। এসবের মাঝে মমতাবালা ঠাকুরের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।