টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কাঠ কুড়োতে গিয়ে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। রবিবার বিষ্ণুপুরের এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, মৃত্যুর কারণ অন্য! গভীর জঙ্গলে সাপের কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ওই মহিলা। তদন্তকারীদের অনুমান, রাতভর তাঁর দেহ সেখানে পড়েছিল। জঙ্গলের হিংস্র প্রাণীরা সেই দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকতে পারে। তাই তাঁর শরীরে বস্ত্র ছিল না। যদিও এই সাপে কামড় সংক্রান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ বিজেপি (BJP)। স্থানীয় বিধায়কের অভিযোগ, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ধর্ষণ-খুনের মতো ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যেই সর্পদংশনের তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) বাঁকাদহ চাঁচর গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা শনিবার জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন। তার আর বাড়ি ফেরেননি। রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর তাঁর স্বামী মন্টু সর্দার বিষ্ণুপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর সকালে পুলিশ খুঁজতে গিয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকেই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, তাঁকে গণধর্ষণের পর খুন করে জঙ্গলে (Jungle) ফেলে রাখা রয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল ময়নাতদন্তের জন্য। পরে সুপারস্পেশালিটি সুবিধাসম্পন্ন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ করেছিলেন হাসিনা, মেয়াদ শেষের আগেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে ছাঁটাই বাংলাদেশের কর্মীরা]
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষাক্ত সাপের কামড়ে (Snake Bite) ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণ-খুন ঘটেনি। ওই জঙ্গলে বহু বিপজ্জনক প্রাণীর বাস বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, বুনো শূকর বা শিয়ালের মতো চারপেয়ে হয়ত মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় জামাকাপড় সরে গিয়েছে। যদিও ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে চাঁচরের ওই বধূর, তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের (TMC) দাবি, যদি গৃহবধূকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়, তাহলে পুলিশ তদন্ত করে তা বের করবে এবং দোষীদের কড়া শাস্তি হবে। বিজেপি এনিয়ে অযথা রাজনীতির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের।