কেশপুর যাওয়ার পথে গ্রাম ঘুরলেন অভিষেক, সমস্যা শুনে মন্ত্রীকে ফোন করে সমাধানের আরজি

04:56 PM Feb 04, 2023 |
Advertisement

This browser does not support the video element.

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেশপুরে (Keshpur) জনসভা করতে যাওয়ার পথে ফের মাঝপথে নেমে গ্রাম পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন। শুধু শুনলেনই না। নিজের ফোনে নোট করলেন সব। এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিনশহর গ্রামের বাসিন্দারা বেশিরভাগই জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানালেন তাঁকে। আর তা শুনে গ্রামবাসীদের সামনে থেকেই সেচমন্ত্রী (Irrigation)পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। পাট্টা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের কথা বলেন। তাতে সেচমন্ত্রী জানান, তাঁর অপারেশন হয়েছে, কটা দিন বিশ্রামে আছেন। তা শুনে অভিষেকও বলেন, ”হ্যাঁ, অপারেশন হয়েছে জানি। তবু নিয়ম যা আছে দেখে, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব একটু পাট্টার ব্যবস্থা করে দেবেন।”

Advertisement

এর আগে কাঁথিতে (Kanthi) জনসভা করতে যাওয়ার সময়ে এভাবেই মাঝপথে নেমে গ্রাম পরিদর্শন করেছিলেন অভিষেক। মারিশদার কাছে তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে বেনিয়মের অভিযোগ পেয়েই গ্রাম পঞ্চায়েত ও উপপ্রধানকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন তৎক্ষণাৎ। সেইমতো পরবর্তী সময়ে দু’জনই ইস্তফাপত্র পাঠান। যদিও তা নিয়ে খানিক সমালোচনা হয়। কেন দলের পদাধিকারী হয়ে অভিষেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিলেন? সেই প্রশ্নও তোলা হয়। 

[আরও পড়ুন: কলঙ্কমুক্ত হয়ে শীঘ্রই ফিরছেন জিমন্যাস্ট দীপা, জুলাই-আগস্টে নামবেন প্রতিযোগিতায়]

এবারও তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সভার আগে স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা ভীত ছিলেন। প্রথমে অভিষেকের কপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল সভাস্থলে। কিন্তু পরে মতবদল করে তিনি সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই আশঙ্কা ঘনিয়ে আসে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। সকলেই ভাবতে থাকেন, আবার গ্রাম পরিদর্শনে নামলে অভিষেকের ‘শাস্তি’র মুখে না পড়তে হয় কাউকে। 

[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচই করতে পারেনি রাজ্য’, দাবি স্মৃতির, পালটা দিল তৃণমূল]

যদিও এদিন শাস্তি নয়, অভিষেক এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জিনশহরে গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে সমাধানের উপায় খুঁজতে সচেষ্ট হন। তিনি গ্রামে সকলের মাঝে দাঁড়িয়েই ফোন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যার কথা তাঁকে জানান অধিকাংশ গ্রামবাসী। তাই সেচমন্ত্রীকে ফোন করে তা সমাধানের আরজি করেন অভিষেক। তারপর সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছে যান কেশপুরের আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। সেখানেই জনসভা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

 

 

This browser does not support the video element.

Advertisement
Next