সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: এবার ডিজিটাল হচ্ছে সিপিএম ! বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা সংগ্রহ না করে এবার অনলাইন মাধ্যম চালু করল সিপিএম। অর্থাৎ চাইলে কেউ অনলাইনে টাকা পাঠাতে পারবেন দলকে। তবে এটা শুধুমাত্র দুর্গাপুরে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে ভারচুয়াল পেমেন্টের জন্যে ‘কিউআর কোড’ চালু করেছে সিপিএম। রাজ্যে এই প্রথম সম্ভবত পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই ‘দূর শুভান্যুধায়ী’দের জন্যে এই পরিষেবা শুরু করল দল। সিপিএমের এই আধুনিকতাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই জনসংযোগের নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রশিদ বা কুপনের সাহায্যে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেছে বামেরা। কিন্তু তাতেও যেন অনটনের সংসারে ‘হাঁড়ি’ চড়ছে না সিপিএমের। তাই এই ‘কিউআর কোডে’ – এর পত্তন। ‘বাম পথে গ্রাম’ এই ক্যাপশন দিয়ে ভারচুয়ালি চাঁদা সংগ্রহের আবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাশে দাঁড়ান গ্রাম বাঁচানোর লড়াইতে। কাছেই থাকুন বা দূরে, আপনি দাঁড়ান আমাদের পাশে।’ থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করে কিউআর কোড স্ক্যান করে দেওয়া যাবে চাঁদা। ৩০ জুন থেকে চালু হয়েছে এই ডিজিটাল পদ্ধতি। যদিও ডিজিটাল চাঁদা সংগ্রহে জনসংযোগ তৈরি হবে না বলে ‘গোঁসা’ রয়েছে দলের অন্দরে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়কের মাথায় ছাতা ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান! ভাইরাল ছবি ঘিরে বিতর্ক]
ভারচুয়াল চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, “পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত চার মাস ধরে আমাদের জনসংযোগ ও কূপন ও রশিদ দিয়ে অর্থ সংগ্রহ চলছে। কিন্তু আমাদের দূরের অনেক বন্ধু বান্ধব ও শুভান্যুধায়ী রয়েছেন যারা অর্থ সংগ্রহে অংশ নিতে চাইলেও পারেন না। তাঁদের জন্যেই এই সুবিধা। বিজ্ঞানের ভাল দিকটা নিতে হবে। এখন অনলাইনের যুগ। এতে দুই পক্ষের স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। ভালই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ চলবে। তাঁরাও এই পদ্ধতিতে অর্থ দিতে পারবেন।” ডিজিটাল সিপিএমের এই কৌশলকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন,” সিপিএমের এখন কর্মী নেই। যা ছিল তা অন্য দলে চলে গেছে। তাই বাড়ি যাওয়ার বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গেলেই ৩৪ বছরের বাম অপশাসন, এতদিন কোথায় ছিলেন সহ একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে।তাই এই ব্যবস্থা। এতেও মানুষের মন পাওয়া যাবে না।”