দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গভীর রাতে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রৌঢ়ার। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার বোয়ালিয়া এলাকায়। মৃতার নাম গৌরী সাহা। বয়স পঞ্চাশ বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানার বোয়ালিয়া এলাকার বাড়িতে একাই থাকতেন গৌরী সাহা। খুব বেশি নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না তাঁর। ঘরের চার দেওয়ালের অন্দরেই বেশিরভাগ সময় কাটাতেন। রান্নাও করতে পারতেন না নিঃসঙ্গ অথর্ব প্রৌঢ়া। তাঁর খাবার তৈরির জন্য এক মহিলা রাখা ছিল। তিনিই মাঝেমধ্যে এসে রান্না করে দিয়ে যেতেন।
[আরও পড়ুন: এবার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফিট সার্টিফিকেট দিতে পারবেন আয়ুর্বেদের চিকিৎসকরাও ]
শোনা গিয়েছে, গত শুক্রবার এসে ওই মহিলা রান্না করে দিয়ে যান। তার থেকে বাড়িতে একাই থাকছিলেন গৌরী সাহা। শুক্রবার গভীর রাতে আগুন লাগে। সেই সময় আশেপাশে পাশের বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে ছিলেন। আচমকা ধোঁয়া এবং পোড়া গন্ধ টের পান। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তবে ততক্ষণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্য হয়েছে ৫০ বছরের প্রৌঢার।
আগুন লাগল কীভাবে? স্থানীয়রা মনে করছেন মশা মারার ধূপ থেকেই আগুন লেগেছে। ঘুমের মধ্যে প্রথমে হয়তো টের পাননি প্রৌঢ়া। যখন বুঝতে পারেন তখন হয়তো অথর্ব দেহ নিয়ে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা ছিল না। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত প্রৌঢ়ার মৃত্যুর অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানা গিয়েছে।