স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা ও বারাসত: দ্বিতীয় দফায় বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ৬ মার্চ, বুধবার বারাসতে মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। সেই উপলক্ষে ৫ মার্চ, মঙ্গলবার সন্ধেবেলাই কলকাতায় চলে আসছেন মোদি। রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে বুধবার বারাসতের (Barasat) কাছারি ময়দানে মহিলা শক্তি বন্ধন সভারমূল ইস্যু সন্দেশখালি। লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে বিজেপির আয়োজিত সভায় প্রধানমন্ত্রীর যোগদান নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বুধবার মোদির সভায় সন্দেশখালির কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। মহিলারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন। সভাস্থলে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে খবর। গত ১ ও ২ মার্চ যথাক্রমে আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওই দুটি সভা থেকে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন মোদি। সন্দেশখালি নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। বারাসতের সভায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়াতে পারেন তিনি। সোমবার বারাসতের সভাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা-সহ রাজ্য মহিলা মোর্চার নেতৃত্ব। সেখানেই সাংবাদিকদের বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’, ‘লাখপতি দিদি’-সহ নারীদের উন্নয়নে একাধিক কাজ হয়েছে, যেটা আগে কখনও হয়নি। এর বিস্তারিত তথ্য জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসার জন্য রাজ্যের মা-বোনদের আহ্বান জানাচ্ছি। এই সভায় পশ্চিমবঙ্গের মহিলা সংগঠক, কর্মী, সমর্থকরা আসবেন।’’
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় দিল্লি হাই কোর্টে বড় ধাক্কা মহুয়ার, খারিজ আবেদন]
সন্দেশখালির এই সভাকে জাতীয় স্তরের কর্মসূচিতে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি (BJP)। সারা দেশের ছয় হাজার জায়গা থেকে লক্ষাধিক মহিলারা ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় অংশ নেবেন। মণ্ডলে মণ্ডলে বারাসতের সভার সম্প্রচার করা হবে। কেন্দ্রীয় আইসিডিএস প্রকল্পের কর্মীদেরও সভা হাজির করাতে চায় বিজেপি। সোমবার বারাসতের সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ, রাজ্যনেতা তাপস মিত্র প্রমুখ। জানা গিয়েছে, ৬ মার্চ সকালে প্রথমে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (EW Metro) হাওড়া ময়দান-এসপ্লানেড অংশের উদ্বোধন করবেন। তার পর দমদম বিমানবন্দরে আসবেন হেলিকপ্টারে। সেখান থেকে ১১ কিলোমিটার রোড শো (Road Show) করে বারাসতের কাছারি ময়দানে পৌঁছনোর কথা প্রধানমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: ইস্তফার পরই তাপস রায়কে ফোন প্রশান্ত কিশোরের, কী কথা হল দুজনের?]
এদিকে, আগামী ৯ মার্চ তৃতীয় দফায় রাজ্যে আবার আসবেন নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে তাঁর জনসভা। বাগডোগরায় একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন তিনি। তবে শিলিগুড়িতে সভা করলেও এই জনসভায় কার্যত গোটা উত্তরবঙ্গ থেকেই জমায়েত হবে। সূত্রের খবর, পরে আলিপুরদুয়ার কিংবা কোচবিহারে আরেকটি জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। মালদহেও প্রধানমন্ত্রীর একটি সভা করার কথা রয়েছে। পাহাড়ে সভা করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। উত্তরবঙ্গের সভাতেও অবশ্য সন্দেশখালির প্রসঙ্গ যে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন তাঁর ভাষণে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভার ভোটে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।